বিদেশের খবর : মিয়ানমারে বিক্ষোভকারীদের পাখির মতো গুলি করে মারছে পুলিশ। রোববার একদিনে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন আরো ৩৯ বিক্ষোভকারী। গুলি করার পরও সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে মিয়ানমারে বিক্ষোভ আরও জোরদার হয়েছে।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, রোববার দেশটির বাণিজ্যিক রাজধানী হ্লায়াইং থারইয়া এলাকায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের গুলিতে ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। মিয়ানমারের অন্যান্য অঞ্চল থেকেও বিক্ষোভকারীদের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
দেশটিতে চীনা দূতাবাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, হ্লায়াইং থারইয়া এলাকায় গার্মেন্টস কারখানায় অজ্ঞাতপরিচয় হামলাকারীদের অগ্নিসংযোগে অনেক চীনা কর্মী আহত হয়েছেন এবং আটকা পড়েছিলেন। তারা মিয়ানমারকে চীনা সম্পত্তি ও নাগরিকদের সুরক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন।
হ্লায়াইং থারইয়া হাসপাতালের এক কর্মকর্তা জানান, নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। গুরুতর আহত লোকজনকে এখনও হাসপাতালে নিয়ে আসা হচ্ছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, রবিবার দিনভরই হ্লাইং থারিয়ার এলাকায় গুলির শব্দ পাওয়া গেছে এবং সড়কগুলোতে সেনাবাহিনীর ট্রাক টহল দিতে দেখা গেছে।
এক চিকিৎসক সাংবাদিকদের বলেন, ‘চিকিৎসা দেওয়ার সময় তিনজন আমার চোখের সামনেই মারা যান। আরো দুইজনকে আমি অন্য একটি হাসপাতালে পাঠিয়েছি। এই মুহূর্তে আমি এটুকুই বলতে পারি।
পুলিশ হ্লাইং থারিয়ার এলাকায় ভারি অস্ত্র ব্যবহারের পরিকল্পনা করেছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে জানান এক পুলিশ কর্মকর্তা।
রাষ্ট্রায়াত্ত টেলিভিশনে বিক্ষোভে এক পুলিশ কর্মকর্তা নিহত এবং আরো তিন জন আহত হওয়ার খবর দেয়া হয়েছে।
গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের নির্বাচিত নেত্রী অং সান সু চি ও প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ একাধিক নেতাকে গ্রেপ্তার করে সেনাবাহিনী অভ্যুত্থানের ঘোষণা দেয়। এরপর থেকে মিয়ানমারের জনগণ জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছেন। এখন পর্যন্ত পুলিশের গুলিতে শতাধিক বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। গ্রেপ্তার হয়েছেন দুই হাজারের বেশি।