কলারোয়া

গৌরবের সাথে শিক্ষাদান করে চলেছে কামারালি বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়

By daily satkhira

March 25, 2021

সুভাষ চন্দ্র দাস,  (অনীক স্মৃতি সাংবাদিকতা প্রশিক্ষণার্থী ও ইন্টার্ন): কলারোয়া উপজেলা যুগিখালী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের প্রত্যান্ত গ্রামাঞ্চলে কামারালি বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত। গ্রামের কতিপয় শিক্ষানুরাগীরা ১৯৬৭ সালে ১ একর ৫৯ শতক সম্পত্তির উপর উক্ত বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। জানা গেছে এলাকার ইউসুফ আলী দফাদার, আমের আলী, বিনু মোড়ল, মোক্তার আলী মোড়ল, বাহাদুর সানা, আলাউদ্দীন মোড়ল, সুকচাঁদ মোল্লাহ, আবুল কাশেম সরদার, তফেল উদ্দীন সানা, শামসুর রহমান সানার যৌথ উদ্যোগে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। প্রতিষ্ঠানের প্রথম প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পান সোইলেন কুমার দাশ। তিনি তার ব্যক্তিত্ব ও কর্তব্য নিষ্ঠা এবং দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে সুশিক্ষা প্রদান করেন। তার হাত দিয়ে অনে গুণী মনীষী এবং সমাজ সংস্কারক ব্যক্তি হিসেবে গড়ে উঠেছে। যেমন বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে রাষ্ট্রদুতের দায়িত্ব পালন করেন ভারতের নয়াদিল্লিতে এবং ডি আই জিরি দায়িত্ব অবস্থায় অবসর গ্রহণ করেন এই বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র মতিউর রহমান। এছাড়া কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়র ফজলুর রহমান, জনতা ব্যাংকের ডিএমডি আব্দুল জব্বার, বি সি এস ক্যাডার তথ্য মন্ত্রণালয় আ: গফফার আলী, সমাজসেবা অফিসার সরদার আলী আহসান হাবিব, ভেটোনারী সার্জেন আব্দুল আজিজ গোপাল গঞ্জ জেলা বিভাগীয় প্রধান, বি সি এস শিক্ষা ক্যাডার আব্দুল গফফার, বি সি এস শিক্ষা ক্যাডার আ: রশিদ, সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার মো: শাহিন হোসেন, আয়কর অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ফারহানা বেলা, বিসিএস ক্যাডার আবু বক্কার সিদ্দিক, অবসর, তালা কলেজের অধ্যক্ষ ডা: শাসুর জোহাসহ বহু গুণী ব্যক্তি কামারালী বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে দেশ ও দশের উন্নয়নে ভূমিকা পালন করে চলেছেন। বর্তমান সরকারি এম এম কলেজ যশোরে কর্মরত আছেন সদরুল আলম বনিক, লন্ডনে কর্মরত ব্যারিস্টার মো: জুলফিকার আলী ভুট্ট। প্রতিষ্ঠানটিতে এ দীর্ঘ সময়ে ৫ জন প্রধান শিক্ষকের পদার্পন ঘটেছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকরা হলেন, সোইলেন কুমার দাশ, মো: নাজেম উদ্দীন, এম এ ওহাব, কার্ত্তিক দত্ত এবং বর্তমানে কর্মরত উক্ত প্রতিষ্ঠানেরই ছাত্র আব্দুস সাত্তার। এ ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরে আলো ছড়ালেও জাতীয়করণ না হওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। ২০১৯ সালে উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ৬৯ জন শিক্ষার্থী পরিক্ষা দিয়ে ৫৫ জন কৃতকার্য হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন ধরে ফলাফলে সুনাম ধরে রাখলেও প্রতিষ্ঠানে দু তলা বিল্ডিং এবং ২টি টিনশেট জরাজীর্ণ ভবনের মধ্যেই শিক্ষা প্রদান করে আসছেন শিক্ষকরা।