শিক্ষা ডেস্ক : দেশে চলমান করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ঈদুল ফিতরের আগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ঈদুল ফিতরের পর আগামী ২৩ মে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠদান শুরু হবে।
বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) রাত পৌনে ৮টার দিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানান।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান আগামী ঈদুল ফিতরের পরে শুরু হবে জানিয়ে গণমাধ্যমে পাঠানো বার্তায় বলা হয়, বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে অতি সম্প্রতি চলমান বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি দেখা দেওয়ায় শিক্ষার্থী-শিক্ষক-কর্মচারী ও অভিভাবকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিবেচনা করা প্রয়োজন। এ বিষয়ে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির সঙ্গে পরামর্শ করা হয়েছে। সার্বিক বিবেচনায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান আগামী ঈদুল ফিতরের আগে শুরু না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বার্তায় আরো বলা হয়, ঈদুল ফিতরের পর আগামী ২৩ মে থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সব স্কুল-কলেজে পাঠদান শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর আগ পর্যন্ত সময়ে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরাও এই সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন।
বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে গণহত্যা দিবসের আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের দীপু মনি বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারি না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়ে সম্পূর্ণ অবগত রয়েছেন। যেহেতু করোনা সংক্রমণ বাড়ছে তাই এই মুহূর্তে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে শিক্ষার্থীদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে চাই না।
দেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। প্রথম মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ। গত বছরের ১৭ মার্চ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এখন পর্যন্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। সর্বশেষ গত ২৮ ফেব্রুয়ারি দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আগামী ২৯ মার্চ পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করে আদেশ জারি করে সরকার।
এর আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ৩০ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণা দেন।