আসমাউল হুসনা আখিঁ, (অনীক স্মৃতি সাংবাদিকতা প্রশিক্ষণার্থী ও ইন্টার্ন): ১৯২৭ সালে বহেরা এটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপিত হয়। আজিজুল ও তছিমদ্দিন নামে দুই ব্যক্তি বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। যে কারণে তাদের নামানুসারে বিদ্যালয়টির নাম করণ করা হয় বহেরা এটি। এর পূর্ণাঙ্গ অর্থ হলো এ -তে আজিজুল, টি- তে তছিমদ্দিন। সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা থানার বহেরা গ্রামে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত। বিদ্যালয়টির বামধারে রয়েছে একটি সরকারি হাসপাতাল। বিদ্যালয়টি প্রথম দিকে ৯৯ শতক জমির স্থাপন করা হয়। তহখন টিন শেডের রুম ছিল ১০টি এবং শিক্ষক ছিল ৯-১০ জনের মতো। প্রথম দিকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিল গহর স্যার। এছাড়াও ইউনুস স্যার, কুদ্দুস স্যার, নির্মল স্যার। বর্তমানে বিদ্যালয়ের জায়গাটি ৯৯ শতক থেকে ১৬ শতক বেশি হয়েছে। এছাড়াও বিদ্যালয়টি এখন অনেক উন্নয়ন হয়েছে। দুই তলা করে মোট দুইটা ভবন রয়েছে। প্রথম দুই তলা ভবনের সাথে শিক্ষক মিলনায়তন রয়েছে। একটা একতলা ভবন রয়েছে। সেটা প্রধান শিক্ষককের কক্ষ। একটি পাঠাগার ও একটি অফিসঘর আছে। একটা আই সি টি ক্লাস রুম রয়েছে। সাইকেল ঘর রয়েছে। বর্তমানে বিদ্যালয়ে একটি ভোকেশনাল পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রীর ক্লাস করার জন্য একটা ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এখন বিদ্যালয়ে ছাত্রÑছাত্রীর সংখ্যা প্রায় এক হাজার এবং শিক্ষক শিক্ষিকার সংখ্যা ২৩জন এবং ৩জন স্টাফ। সর্বমোট ২৬ জন বিদ্যালয়ে প্রতি বছর পরীক্ষা নেওয়া হয়। এছাড়া বিদ্যালয়ে ২-৩ মাস অন্তর অন্তর বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। মেন্ট ট্রেনিং করানো হয়, স্কাউটকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। বিজ্ঞান বিষয়গুলোর ব্যবহারিক ক্লাসের জন্য বিজ্ঞানের কক্ষ রয়েছে এবং কম্পিউটার ল্যাব রয়েছে। এই বিদ্যালয়ে প্রতি বছর বার্ষিক ক্রীড়া অনুষ্ঠান হয়। বিদ্যালয়ে একটা বড় খেলার মাঠ আছে। বিদ্যালয়টির বিভিন্ন রকম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। তা ছাড়া প্রতি বছর বনভোজনের আয়োজন করা হয় এবং অন্যান্য দিবসগুলো পালন করা হয়। বিদ্যালয়ের লেখাপড়ার ব্যবস্থা অনেক ভালো। এখানে পরীক্ষার ফলাফল সব সময় ভালো হয় দেবহাটা থানার মধ্যে বহেরা এ.টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরীক্ষার ভালো ফলাফলের জন্য ভালো সুনাম আছে। এখানের শিক্ষক- শিক্ষিকারা অনেক আন্তরিকতার সাথে ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদান করে থাকেন এবং ছাত্র-ছাত্রীরা খুবই আন্তরিক, বিদ্যালয়ের বেশিরভাগ ছাত্র-ছাত্রীদের সৃজনশীল মেধা আছে। বিদ্যালয়টির একটা আলাদা বৈশিষ্ট রয়েছে। প্রতিবছর যে বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় এ অনুষ্ঠানটি দেবহাটা থানার মধ্যে একমাত্র বহেরা এ.টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে হয়ে থাকে। তাছাড়া উন্মুক্ত খেলার মাঠ, সুন্দর শ্রেণি কক্ষ, লাইব্রেরি, অফিসকক্ষ সব কিছু পৃথক বৈশিষ্ট্যের দাবিদার। এখানে প্রতি বছর মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য পুরস্কৃত করা হয়। এভাবে বিদ্যালয়টি এখনও গৌরবের সাথে শিক্ষা দান করে যাচ্ছেন। বিদ্যালয়টি একটি আদর্শ প্রতিষ্ঠান। বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক আলহাজ্ব মো: ইমাদুল ইসলাম বলেন, বহেরা এ.টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আমার শিক্ষকতার জীবন শুরু হয় ১৯৮৮ সালে। আমি ১৯৮৮তে যখন শিক্ষকতা করা শুরু করি, তখন এই বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক ছিলেন গহর আলী। তিনি খুবই বিনয়ী ও ধার্মিক ছিলেন। আমি ১৯৮৮- ২০১৮ সাল পর্যন্ত শিক্ষকতা করেছিলাম। ১৮-৬-২০১৬ – ৩০-৯-২০১৮ সাল পর্যন্ত এই বিদ্যলয়ে প্রধান শিক্ষকের ভূমিকা পালন করি। আড়াই বছর প্রধান শিক্ষকের ভূমিকা পালন করার সময় বিদ্যলয়টির বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করছি এবং যটুক উন্নয়ন করা সম্ভব আমি করছি।এই বিদ্যালয়টি ছিলো সু- সৃঙ্খল। প্রধান শিক্ষক থাকাকালীন আমি নিজে নবম-দশম শ্রেনির পাঠদান করাতামএবং প্রত্েযক শ্রেনিকক্ষে মনিটারিং করতাম।