কালিগঞ্জ

গৌরব ও ঐতিহ্যের মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়

By daily satkhira

April 01, 2021

মঙ্গল মন্ডল,(অনীক স্মৃতি সাংবাদিকতা প্রশিক্ষণার্থী ও ইন্টার্ন): সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার তারালী ইউনিয়নের বরেয়া গ্রামের প্রত্যান্ত অঞ্চলের মানুষের মধ্যে শিক্ষা আলো পৌছে দেওয়া একমাত্র প্রতিষ্ঠান মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়। ১৯৭৩ সালের ২৪ জানুয়ারি বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠায় অত্র এলাকার ইছাক সরদার, সুরমান সরদার, অজিয়ার রহমান, আব্দুল হাকিম ও বরেয়া গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার শুরুতেই ৮-৯ জন শিক্ষক ছিলেন। শুরু থেইে ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ দানের অনুমতি প্রদান করে সরকার। সে সময় পাশ^বর্তী এলাকায় আর কোন বিদ্যালয় না থাকায় বহু দুর হতে এ বিদ্যালয়ে শিক্ষাগ্রহণ করতে আসত শিক্ষার্থীরা। এমনকি নদী পার হয়ে বহু দুর দূরান্ত হতে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিত শিক্ষার্থীরা। বিদ্যালয়ের মোট জমির পরিমান ৪ একর। বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আছে একটি মাঠ। যার আয়তন ৪ বিঘা। একটি দিঘি যার আয়তন ৩ বিঘা এবং একটি আমবাগান যার আয়তন ২ বিঘা। এছাড়াও আছে নামাজ পড়ার জন্য একটি মসজিদ। বিদ্যালয়কে আকর্ষনীয় করে তুলেছে বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে থাকা ফুলের বাগান ও ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানানোর জন্য শহীদ মিনার। বর্তমানে বিদ্যালয়টি এখনোও জাতীয় করণ হয়নি। বর্তমানে বিদ্যালয় শিক্ষক আছে ১২জন এবং ছাত্রছাত্রী আছে ৩৩০ জন। বিদ্যালয়টি প্রত্যান্ত অঞ্চলের শিক্ষা বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে। বিদ্যালয়টি থেকে অনেক গরিব, মেধাবী শিক্ষার্থী শিক্ষা গ্রহণে পেয়েছে। শিক্ষারও হারও দিন দিন বাড়ছে। এমন একটি বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে পেরে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা গর্বিত। এ বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা ক্রিকেটার মোস্তাফিজুর রহমান এখন সারা বিশে^র কাছে পরিচিত একটি নাম। এছাড়া গর্বিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে বর্তমানে সরকারের উচ্চপদে চাকুরি করে আসছেন ইঞ্জিনিয়ার জাহাঙ্গীর কবির, অর্থ সচিব নূর ই আলম, ইঞ্জিনিয়ার মনোরঞ্জন, ইঞ্জিনিয়র স্বপন, কর অফিসার সোহেল, শিক্ষা ক্যাডার সুজয় নন্দী, প্রিন্সিপাল এ কে এম শফিকুজ্জামান, এম বিবিএস ডাক্তার বিপ্লব, ব্যাংকার সুমনসহ বহু প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা এ বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে সারা দেশে আলো ছড়াচ্ছেন।