অনলাইন ডেস্ক : গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও পাঁচ হাজার ৬৮৩ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ছয় লাখ ৩০ হাজার ২৭৭ জন।
একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরও ৫৮ জন। গতকালের তুলনায় আজ মৃত্যু বেড়েছে। গতকাল ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এখন পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন নয় হাজার ২১৩ জন।
আজ শনিবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত অ্যান্টিজেন ও আরটি-পিসিআর পদ্ধতিতে ২৪ হাজার ৫৪৮টি নমুনা পরীক্ষা করে করোনায় আক্রান্ত আরও পাঁচ হাজার ৬৮৩ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ১৫ শতাংশ।
মার্চের শুরু থেকেই দেশে পুনরায় করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকলেও গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে তা দ্রুত গতিতে বাড়ছে। গত ২৬ মার্চ শনাক্তের হার ছিল ১৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ। ২৭ মার্চ তা বেড়ে ১৪ দশমিক ৯০ শতাংশ, ২৮ মার্চ ১৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ, ২৯ মার্চ ১৮ দশমিক ৩৮ শতাংশ, ৩০ মার্চ ১৮ দশমিক ৯৪ শতাংশ, ৩১ মার্চ ১৯ দশমিক ৯০ শতাংশ, ১ এপ্রিল গতকাল ২২ দশমিক ৯৪ শতাংশ ও ২ এপ্রিল ২৩ দশমিক ২৮ শতাংশে দাঁড়ায়।
আজসহ টানা এক সপ্তাহ যাবৎ গড়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ৪৯। গত ২৮ মার্চ মারা গেছেন ৩৫ জন, ২৯ মার্চ ৪৫ জন, ৩০ মার্চ ৪৫ জন, ৩১ মার্চ ৫২ জন, ১ এপ্রিল ৫৯ জন ও গতকাল মারা গেছেন ৫০ জন।
আজ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৫৮ জনের মধ্যে ৩৮ জন পুরুষ ও ২০ জন নারী। বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে তাদের মধ্যে চার জনের বয়স ৩১-৪০ বছরের মধ্যে, চার জনের বয়স ৪১-৫০ বছরের মধ্যে, ১৬ জনের বয়স ৫১-৬০ বছরের মধ্যে ও ষাটোর্ধ্ব ৩৪ জন।
২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন দুই হাজার ৩৬৪ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন পাঁচ লাখ ৪৯ হাজার ৭৭৫ জন। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত ৪৭ লাখ ৫২ হাজার ৬৬১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, দেশে মোট পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ২৬ শতাংশ। আর মোট শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৭ দশমিক ২৩ শতাংশ ও মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৬ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল মিলিয়ে সারাদেশে মোট আইসিইউ বেডের সংখ্যা ৫৯৬। এর মধ্যে বর্তমানে ফাঁকা রয়েছে ২০৪টি। আর ঢাকা মহানগরীতে আইসিইউ বেড রয়েছে ৩০৬টি। এর মধ্যে ফাঁকা রয়েছে ৪৪টি। গতকাল পর্যন্ত সারাদেশে ৫৪ লাখ ১২ হাজার ৭৯১ জনকে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে।