সাতক্ষীরা

ভূয়া ওয়ারেশকাম সৃষ্টি করে সম্পত্তি দখল চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

By daily satkhira

April 03, 2021

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : সাতক্ষীরা সদরের ব্রহ্মরাজপুরে ভূয়া ওয়ারেশকাম সৃষ্টি করে ভূমিদস্যু মুর্শিদ আলী কর্তৃক এক বৃদ্ধার সম্পত্তি দখল চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন, সাতক্ষীরা শহরের ইটাগাছা গ্রামের মৃত.তমেজ উদ্দীন সরদারের স্ত্রী রাবেয়া খাতুন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার স্বামীর ফুফু থাকো বিবির স্বামী আছরফ সরদার ৪০/৪৫ বছর পূর্বে নি:সন্তান অবস্থায় মারা যান। ব্রহ্মরাজপুর মৌজায় খতিয়ান নং -সিএস ৬৩৬,১৩২৯, এস-এ১৩০৯, খারিজ ১৩৫৯/১, বুজরাত, ৪১৬৪, ডিপি ২০৬৭, দাগ নং- ৬১১২, এস এ ৬১১০, জমির পরিমান ১৩২ শতক সম্পত্তি ফুফু থাকো বিবির একমাত্র ওয়ারেশ হিসেবে ভাইপো তমেজ উদ্দীন প্রাপ্ত হন। সে অনুযায়ী উক্ত সম্পত্তি দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখল করে আসছিলেন তমেজ উদ্দীন সরদার। কিন্তু তার মৃত্যুর পর ওই সম্পত্তির উপর কু নজর পড়ে বড় খামার গ্রামের মৃত. আকছেদ ঢালীর পুত্র মুর্শিদ আলী ও মো: হাসান আলী গংয়ের। থাকো বিবি’র কোন ওয়ারেশ বা আতœীয় না হয়েও জালিয়াতির মাধ্যমে ভূয়া ওয়ারেশ সৃষ্টি করে উক্ত সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল করে অন্যত্র বিক্রয়ের পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। উক্ত সম্পত্তি আমাদের ফুফু থাকোর নামে হলেও জালিয়াতকারী মুর্শিদ উক্ত সম্পত্তির তার নানীর ফুফু সূর্যবানের দাবি করে আসছেন। অথচ উক্ত দাগে সূর্যবানের কোন সম্পত্তি নেই। মুর্শিদের নানীর বাড়ি দেবনগর। এখন সম্পত্তি দখলের উদ্দেশ্যে মুর্শিদ বড়খামারে বসবাস করছেন। আর সূর্যবানের পিতার বাড়ি বাঁকালে। তার পিতা মান্দার ঢালী। আর সূর্যবানের একমাত্র কন্যা আজিমন মুর্শিদর আলীর মাতা। সুতরাং সেখানে তাদের কোন সম্পত্তি নেই। আমরা ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ওয়ারেশ কায়েম সনদপত্র উত্তোলন করেছি। তিনি আরো বলেন জালিয়াতির হোতা মুর্শিদের কবল থেকে সম্পত্তি রক্ষা করতে আমরা আদালতে মামলা দায়ের করি। আদালত নিষেধাজ্ঞা জারি করে এবং ইতোমধ্যে সদর থানার পুলিশ তাদেরকে উক্ত সম্পত্তিতে না যাওয়া এবং কোন কাজ না করার নির্দেশ দিলেও মুর্শিদ, তার ভাই হাসান, বোন ফরিদা খাতুন, মৃত কাশেম সরদারের কন্যা রাশিদা, জোহরা খাতুন, মৃত ফজর আলীর স্ত্রী গ্লো খাতুন, আ: কারিকরের কন্যা হালিমা খাতুন, আছের আলীর পুত্র নুরমান, মোহর আলীর পুত্র আব্দুল আলিম ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে দখলের চেষ্টা চালালে আমরা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের কাজ বন্ধ করে দেন। কিন্তু কয়েক দিন পরেই পুনরায় সেখানে কাজ শুরু করে দখলের ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। আমার স্বামী ১০ বছর মারা গেছেন। আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে ভূমিদস্যুরা আমাদের সম্পত্তি দখলের উদ্দেশ্যে মরিয়া হয়ে ওঠেছে। আমি একজন অসহায় বিধবা বৃদ্ধা মহিলা। তাদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছি। তিনি ওই সম্পত্তি রক্ষা এবং আদালতের নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।