প্রেস বিজ্ঞপ্তি : সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহ আলমের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন সদর উপজেলার শিমুলবাড়িয়া গ্রামের মোঃ আব্দুস সাত্তার সরদারের ছেলে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ রুহুল আমিন। মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই প্রতিবাদ জানান। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি ২০১৫ সালে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করি। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল কর্তৃক সনদপ্রাপ্ত হয়েও অদ্যাবধি সাতক্ষীরার বারে সদস্যপদ না পেয়ে ন্যায় বিচার পাওয়ার প্রত্যাশায় গতবছরের ২৬ ডিসেম্বর একটি সংবাদ সম্মেলন করি। উক্ত সংবাদ সম্মেলনের খবরের শেষে এডভোকেট শাহ আলম তার বক্তব্যে বলেন, রুহুল আমিন টাউট তালিকাভুক্ত। নবজীবন ইনস্টিটিউটের প্রধান শিক্ষক হিসেবে চাকরি করা কালীন সময়ে তথ্য গোপন করে তিনি বার কাউন্সিলের সদস্য পদ গ্রহণ করেন। তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ট্রাইব্যুনালে মামলা পেন্ডিং রয়েছে। মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তিনি সাতক্ষীরা বারের সদস্য হতে পারবেন না। সাংবাদিকদের কাছে বারের সভাপতি এডভোকেট শাহ আলম এর দেয়া বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যে, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্রমূলক। শুধুমাত্র বিরোধিতার স্বার্থে তিনি আমার বিরুদ্ধে এভাবে মিথ্যাচার করেছেন। আমি তার উক্ত বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এডভোকেট রুহুল আমিন আরো বলেন, আমি ল পাশ করার আগে ২০১৪ সালে নবজীবন ইনস্টিটিউটের চাকরি হতে ইস্তফা দেই। ২০১৫ সালের ২ জুন এলএলবি পাস করে ২০১৮ সালে ২৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের অধীনে আইনজীবী তালিকাভুক্ত হই। তিনি অভিযোগ করে বলেন, সভাপতি ইচ্ছাকৃতভাবে বিষয়টি নিষ্পত্তির না করে বারবার কাল ক্ষেপন করাচ্ছেন এবং আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিতে থাকেন। এছাড়া আমাকে জরিমানার বিষয় সভাপতিকে মদদদাতা অ্যাডভোকেট শাহেদুজ্জামান আমাকে মোবাইলে কোর্টে যেতে নিষেধসহ দেখলে বেঁধে রাখার হুমকি দেন। তার ষড়যন্ত্রের শিকার আমিসহ বারের অসংখ্যা আইনজীবীগণ। নিজে জেলার আইনজীবী সমিতিতে সদস্য হতে না পেরে আমি নিজেই উচ্চ রক্তচাপসহ জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে স্ত্রী-সন্তান ও মৃত্যুপথযাত্রী বাবা-মাকে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি। তিনি তার ওপর জুলুম অত্যাচার ও নির্যাতনের জন্য দায়ী অ্যাডভোকেট শাহ আলমসহ তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি, আইনমন্ত্রী, অ্যাটর্নি জেনারেল, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।