নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে মুজিবনগর দিবস পালিত হয়েছে। শনিবার সকালে খুলনা রোড মোড়স্থ বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি আবু আহমেদ, আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. ওসমান গনি, শিক্ষা ও মানব সম্পাদক বিষয়ক সম্পাদক লায়লা পারভীন সেঁজুতি, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক শামীমা পারভীন রতœা, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা: সুব্রত ঘোষ, জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য এড. সৈয়দ জিয়াউর রহমান, শিমুল সামস্, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুর রশিদ, শেখ রাসেল শিশু কিশোর পরিষদ পৌর শাখার সভাপতি নুরুল হক, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি বশির আহমেদ, = সহ সদর উপজেলা ও পৌর আ’লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ঐতিহাসিক এই দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো: নজরুল ইসলাম বলেন, আজ ১৭ এপ্রিল, ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের সুবর্ণজয়ন্তী। দিনটি বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের অন্যতম একটি অবিস্মরণীয় দিন। আজ থেকে ৫০ বছর আগে ১৯৭১ সালের এই দিনে তৎকালীন কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার আ¤্রকাননে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভা শপথ গ্রহণ করে। রচিত হয় স্বাধীন বাংলাদেশের নতুন ইতিহাস। তিনি আরও বলেন, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। এর তিন সপ্তাহ পর বৈদ্যনাথতলা নামে পরিচিত ঐ বিশাল আমবাগান এলাকাকেই পরে ‘মুজিবনগর’ নাম দিয়ে বাংলাদেশের অস্থায়ী রাজধানী ঘোষণা করা হয়েছিল। বাংলাদেশকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দখলমুক্ত করতে মুজিবনগর সরকারের নেতৃত্বেই পরিচালিত হয় সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ। মুজিবনগর সরকারের দক্ষ নেতৃত্ব ও পরিচালনায় ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের সফল পরিণতিতে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিশ্ব মানচিত্রে বাঙালির নিজস্ব আবাসভূমি স্বাধীন-সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।
১৭.০৪.২১