প্রেস বিজ্ঞপ্তি : কলারোয়ায় পৈত্রিক সম্পত্তি জোরপূর্বক ভোগদখল, মারপিট ও খুন জখম বিভিন্ন হুমকি প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দূল মোতালেব মিলনায়তনে লিখিত বক্তব্যে এ অভিযোগ করেন কলারোয়া উপজেলার কুমারনল গ্রামের শুকুর আলী সরদারের স্ত্রী শাহিদা খাতুন। লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, কলারোয়ার কুমারনল মৌজায় এস এ খতিয়ান ১৩৯, সি আর এস খতিয়ান ২৩৬, এস এ দাগ ৮০,৩৮৪, ৪০০, হাল ৩০৮দাগে.০৭ শতক, ৭১৭ দাগে .০৬ শতক ও ৭১০ দাগে .০২ শতক সম্পত্তির এস এ‘র ৬২ এর রেকর্ডীয় মালিক আমার শ^াশুর মৃত. আফিন উদ্দীন সরদার আর ৯০ সালের রেকর্ডীয় মালিক আমার স্বামী শুকুর আলী। আমার স্বামী নাবালক থাকা অবস্থায় আমার শ^শুর মারা যান। কিছু জমি আমার শ^াশুড়ী ভোগদখল করত। সে সময় হাফেজ সরদার আছির উদ্দীনের কন্যা খালেদা, আরিফা , মোহাম্মদ আলীর পুত্র ফজর আলী, মালেকেরপুত্র মোস্তফা, রেজাউল ইসলাম, আ: আলিম, আ: মালেকের পুত্র আব্দুল করিম, খোকন, জিয়াউর রহমান, সামছুদ্দীন মোল্ল্যার পুত্র কাশেম মোল্যা, আমিন উদ্দীন মোল্লার পুত্র আনার আলী, ইয়ার, অনিল কুমার ঘোষের পুত্র সত্যপদ ঘোষ, বিষ্ণুপদ ঘোষের পুত্র সরবিন্দ ঘোষ, জয়েন উদ্দীন সরদারের পুত্র জমির সরদার, দেরাজতুল্যা‘র পুত্র অজিয়ার রহমান, স্ত্রী আছিয়, ঠান্ডাই সরদারের পুত্র আমিন উদ্দীন, অজিহার রহমানের, মহম্মদ সরদারের পুত্র মো: মানিক সরদার, ফেরাজতুল্যাহ মোল্লার পুত্র মুজিবর রহমান, দেরাজতুল্যার পুত্র আ: মালেক, মোহাম্মদ সরদারের পুত্র মোর্তেজা মোজাম্মেল, মৃত চাঁদ আলীর পুত্র বিশু মোল্ল্যা ও নজরুল ইসলাম সেটেলমেন্ট অফিসারের সাথে যোগাযোগ করে কিছু সম্পত্তি নিজেদের নামে ভ্রমাত্মক রেকর্ড করিয়ে নেয়। আমার স্বামী সম্পত্তি রক্ষার জন্য সাতক্ষীরা ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন। আদালতে মামলা চলমান অবস্থায় উক্ত সম্পত্তি জবর দখলের ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে মৃত. হাফেজ সরদারের পুত্র প্রভাবশালী রবজুদ্দিন। ১৪ মার্চ ২১ তারিখে দেশীয় অস্ত্রে সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হাফেজ সরদারের পুত্র রবজুদ্দীন মেম্বর, রিয়াজ সরদার, সাজিদা খাতুন, লাবনী খাতুন, রিক্তা খাতুন, হযরত আলীর পুত্র ইকরামুল ইসলাম, শাহানারা বেগম, লাইলী খাতুন, বজলে সরদারের পুত্র ২নং ওয়ার্ডে মেম্বর আলী মাহমুদগং আমাদের বাড়িতে প্রবেশ করে আমাকে মারপিট শুরু করে এবং গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। তারা আমার পুত্র ও অসুস্থ্য স্বামীকেও মারপিট করে। এ বিষয়ে কলারোয়া থানায় একাধিকবার অভিযোগ করলেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি কলারোয়া থানা পুলিশ। এমনকি বিচারের দাবিতে প্রশাসনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি। স্বামীর পৈত্রিক সাড়ে ৫ বিঘা সম্পত্তি তারা না দিয়ে জোরপূর্বক ভোগদখল করে যাচ্ছে। দাবি করায় মারপিট সহ মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানিসহ বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে যাচ্ছে। সম্পত্তি উদ্ধারের দাবিতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত আবেদন করলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হতে কলারোয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে ৩১টি দাগে তদন্ত পূর্বক রিপোর্ট প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।