জাতীয়

পুলিশ ও চিকিৎসকের উত্তপ্ত বাকবিতণ্ডার ভিডিও ভাইরাল

By Daily Satkhira

April 18, 2021

অনলাইন ডেস্ক : করোনার বিস্তার রোধে চলমান ‘সর্বাত্মক লকডাউনে’ রোববার দুপুরে রাজধানীর এলিফেন্ট রোডে পরিচয়পত্র দেখতে চাওয়ায় পুলিশ সদস্য ও ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়েছেন এক নারী চিকিৎসক। বাকবিতণ্ডার সেই ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।

বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে ওই নারী নিজেকে শওকত আলী বীর বিক্রমের মেয়ে সাইদা শওকত বলে পরিচয় দেন। ‘ডাক্তার বড় না পুলিশ বড়’- সেই প্রশ্ন তুলে তা দেখে নেওয়ারও হুমকি দেন ওই নারী চিকিৎসক। রোববার দুপুরে রাজধানীর এলিফেন্ট রোডে পুলিশ চেকপোস্টে এই ঘটনা ঘটে।

পুলিশ পরিচয়পত্র দেখতে চাওয়ায় উত্তেজিত হয়ে উঠেন ওই নারী। নিজেকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সহযোগী অধ্যাপক পরিচয় দেন তিনি। তবে পুলিশ বারবার পরিচয়পত্র দেখতে চাইলেও তিনি তা দেখাননি।

৫ মিনিট ২৬ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশকে উদ্দেশ করে ওই নারী বলেন, ‘করোনায় জীবন গেছে কয়জন ডাক্তারের, আর আপনারা কতজন মরছেন। আমার কাছে আবার চান মুভমেন্ট পাস।’

এরপরই পাল্টে যায় পরিস্থিতি। পুলিশের এক সদস্য ওই নারীকে বলেন, ‘আপনি আমাদের ধমক দিচ্ছেন কেনো?’ জবাবে নারী বলেন, ‘আমি বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আলীর মেয়ে।’ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমিও মুক্তিযোদ্ধার ছেলে। আপনি আমাকে শোনাচ্ছেন মুক্তিযোদ্ধার কথা।’

এসময় উত্তেজিত হয়ে ওই নারী পুলিশকে বলেন, ‘ডাক্তার হয়রানি বন্ধ করতে হবে। আমি বিএসএমএমইউ প্রফেসর, বীর বিক্রমের মেয়ে। আমাকে আপনারা হয়রানি করতে পারেন না।’ পরে পুলিশের আরেক কর্মকর্তা বলেন, ‘আপা আপনাকে তো হয়রানি করা হচ্ছে না। আপনার কাছে পরিচয়পত্র চাওয়া হচ্ছে।’

এরপরে নিজ গাড়িতে ওঠে যান ওই নারী চিকিৎসক। তখন পুলিশের এক সদস্য ওই নারীকে বলেন, ‘আপনি আমাকে তুই করে বলছেন কেন?’ এক পর্যায়ে আন্দোলনের হুমকি দেন ওই নারী। পুলিশ কর্মকর্তা জবাবে বলেন, ‘আমাদের আন্দোলনের ভয় দেখাচ্ছেন?’

‘আর আমি কে, সেটা এখন তোদের দেখাচ্ছি হারামজাদা’- এই কথা বলে এক ‘মন্ত্রীকে’ ফোন করেন তিনি। ফোনে তাকে হয়রানি করার কথা বলেই পুলিশ সদস্যের হাতে তার ফোন তুলে দেন কথা বলার জন্য।

ভাইরাল ভিডিওতে ওই নারীকে তার পরিচয়পত্র দেখাতে দেখা যায়নি।