নিজস্ব প্রতিনিধি : উচ্চতর গ্রেড পাইয়ে দেওয়ার শর্তে সাতক্ষীরা সদরে সহকারী প্রাথমিক শিক্ষকদের কাছ থেকে নগদ অর্থ উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অর্থ উত্তোলনকারী শিক্ষকরা হলেন, সদরের মাছখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মাজেদ ও পলাশপোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোস্তফা জামান। যদি টাকা উত্তোলনের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত দুই শিক্ষক। সোমবার সদর উপজেলার কয়েকজন সহকারী প্রাথমিক শিক্ষক এধরণের অভিযোগ করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষকরা জানান, ১০ বছর চাকুরির বয়স অতিক্রম হওয়ায় ১২৩ জন শিক্ষককে উচ্চতর গ্রেড পাইয়ে দেওয়ার শর্তে আব্দুল মাজেদ ও মোস্তফা জামান মাথা পিছু ৯শত টাকা উত্তোলন করেছেন। এছাড়া ৩য় টাইম স্কেল পাইয়ে দেওয়ার শর্তে আরো ১০ জনের কাছ থেকে মাথা পিছু ৪০ হাজার টাকা করে উত্তোলন করেছেন। এসব টাকা নাকি শিক্ষা অফিসের বিভিন্ন উর্দ্ধতন অফিসারদের দিতে হবে। তবে অভিযুক্ত মাছখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মাজেদ বলেন, আমি কোন টাকা উত্তোলন করিনি। যারা উচ্চত গ্রেড স্কেল পেয়েছে তারা নিজেরাই উত্তোলন করেছেন। তাছাড়া একাউন্স অফিসে কিছু খরচ তো আছে। যে কারণে গ্রেড স্কেল পাওয়া শিক্ষক সবুজ ও জিয়াসহ কয়েকজন এ টাকা উত্তোলন করেছেন। পলাশপোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোস্তফা জামান বলেন, আমি কোন টাকা উত্তোলনের সাথে জড়িত নই। আমি শুধু শিক্ষকদের অনলাইন করে দিয়েছি। এবিষয়ে সদর উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল গণি বলেন, আমি কোন শিক্ষকদের গ্রেড স্কেল করে দিয়েছি। কিন্তু টাকা উত্তোলন করবে কেন। বিষয়টি আমার জানা ছিলনা আমি খবর নিয়ে দেখবো। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রুহুল আমিন বলেন, বিষয়টি আমাদের জানা নেই। যদি সুস্পস্ট অভিযোগ থাকে আপনারা লেখেন। তারপরও জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।