কালিগঞ্জ

কালীগঞ্জের দারোগা জিয়ারত হোসেন স্টাণ্ড রিলিজ !

By daily satkhira

April 24, 2021

নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ দাবিকৃত ঘুষের টাকা না পেয়ে ভারতীয় বানিয়ে এক বাংলাদেশীকে জেল হাজতে পাঠানো কালীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক জিয়ারত হোসেনকে স্টাণ্ড রিলিজ করা হয়েছে। শনিবার তিনি নতুন কর্মস্থল পাটকেলঘাটা থানায় যোগদান করেছেন। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত ১৬ এপ্রিল রাত ১০টার দিকে দু’টি মোটর সাইকেলে উপপরিদর্শক জিয়ারত হোসেনসহ কয়েকজন সাদা পোশাকের পুলিশ কালীগঞ্জ উপজেলার ডেমরাইল গ্রামের মনোরঞ্জন মণ্ডলের বাড়িতে এসে প্রথমে তক্ষক সাপ বিক্রি, পরে গাজা ও পরে জুয়া খেলার মিথ্যা অভিযোগ এনে মনোরঞ্জন ও তার ছেলে সরোজিতের হাতে হাতকড়া পরান। বেড়াতে আসা মনোরঞ্জনের বড় ছেলে স্বপন মণ্ডলের ভায়রাভাই শ্যামনগরের কাঁচড়াহাটি গ্রামের কমলেশ মণ্ডলকে ঘর থেকে বের করে নানা প্রশ্নবানে জর্জরিত করে পুলিশ। একপর্যায়ে মনোরঞ্জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। চারজনকে ছেড়ে দিতে মেম্বর প্রশান্ত হালদারের কাছে এক লাখ টাকা দাবি করেন উপপরিদর্শক জিয়ারত হোসেন। টাকা দিতে রাজী না হওয়ায় মেম্বরের মোটর সাইকেলসহ জিয়ারত আলী সরোজিত, কমলেশ, দেবেন ও সুভাষকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরদিন সকালে ৮০ হাজার টাকার বিনিময়ে প্রশান্ত মেম্বরের মোটর সাইকেলসহ তিনজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। মামলা দেওয়ার আগে হরিদাস মণ্ডলসহ কয়েকজন কমলেশের স্মার্ট কার্ড নিয়ে পুলিশ পরিদর্শক মিজানুর রহমান ও উপপরিদর্শক জিয়ারত আলীকে দেখালেও ২০ হাজার টাকা দিতে না পারায় কমলেশকে ভারতীয় নাগরিক বানিয়ে শনিবার মামলা দিয়ে জেলে পাঠায় পুলিশ। পরে ১৫ হাজার টাকা দিয়ে কমলেশকে দুর্বল ধারায় চার্জশীট দেবেন বলে জানান মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা জিয়ারত হোসেন। গত বৃহষ্পতিবার কমলেশ বিচারিক হাকিম আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান। যদিও তদন্তে নেমে গোয়ন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা পত্রিকায় প্রকাশিত খবরের সত্যতা পান। তারই আলোকে জিয়ারত হোসেনকে শুক্রবার ষ্টাণ্ড রিলিজ করা হয়। জানতে চাইলে শনিবার সকালে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দোলোয়ার হুসেন, স্টাণ্ড রিলিজ নয়, জিয়ারত হোসেনকে স্বাভাবিক বদলী করা হয়েছে।