নিজস্ব প্রতিনিধি: তালার এ.জে.ডি.পি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় পুন:বোর্ড গঠন এবং অনিয়মের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত শাস্তির দাবিতে জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন, বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা এস এম মোমিনুল ইসলাম। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, তালার এ.জে.ডি.পি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগে জন্য গত ৮ নভেম্বর ২০২০ তারিখে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সে মোতাবেক ৫ জন শিক্ষক যথাক্রমে মুকুন্দ কুমার রায়, বিশ^জিৎ রায়, মতিয়ার রহমান, অম্বর কুমার দাস ও কুমারেশ চন্দ্র বসু উক্ত পদে নিয়োগের জন্য আবেদন করেন। বাছাই কমিটি ৫ জনের আবেদনপত্র বৈধ ঘোষণা করেন। কিন্তু এর মধ্যে মুকুন্দ কুমার রায় সড়ক দূর্ঘটনায় আহত হয়ে মৃত্যু বরণ করেন। মৃত্যুর খবর পেয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মজিদ তড়িঘড়ি করে নিয়োগ বোর্ডের আয়োজন করেন। ৫জন প্রার্থীর জন্য তিনি কম্পিউটার করে ৫টি খালি ঘর বিশিষ্ট তালিকা তৈরি করেন চিঠি বিতরণের জন্য। কিন্তু চিঠিগুলো সরকারি রাজস্ব ফাঁকি নিয়ে কোন পিওনের মাধ্যমে বিতরণ না করে নিজেই বিতরণ করেন এবং চিঠিতে ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখ থাকলেও পৌছে দিয়েছেন ১ মার্চ ২০২১ তারিখে। সে অনুযায়ী ৩মার্চ ২০২১ তারিখ বুধবার পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও ওই দিন সকালে মৌখিকভাবে জানানো হয় নিয়োগ বোর্ড হবে না। পরবর্তীতে জানা যায় ওই ৪ জন প্রার্থীদের বাদ নিয়ে যারা আদৌ আবেদন করেনি এবং চাকুরি ১০ বছর পূর্ন হয়নি এমন তিন জন শিক্ষক যথাক্রমে সাধন কুমার দাস ওরফে বিশ^জিৎ দাস, তপন কুমার পাল ও ঘোষ অজয় কুমারকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ দেখান। এদিকে শিক্ষা অফিস থেকে ডিজি’র প্রতিনিধি হিসাবে তালা বিদে সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রোজিনা ম্যাডানকে। কিন্তু তিনি ২৪ ফেব্রুয়ারি মারা যান। অথচ যে নিয়োগ বোর্ড বাসিয়েছেন প্রধান শিক্ষক আব্দুল মজিদ। সেখানে তালা বিদে সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক গৌর পদ নন্দিকে দিয়ে নিয়োগ বোর্ড পরিচালনা করিয়ে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে সাধন কুমার দাস ওরফে বিশ^জিৎ দাস কে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দান করেন। যা সম্পূর্ণ নিয়ম বর্হিভূত। ফলে উক্ত নিয়োগটি সম্পূর্ণ অবৈধ। নিয়োগ বোর্ড সম্পন্নের পরে এলাকায় চৌর হয়ে গেছে প্রধান শিক্ষক আব্দুল মজিদ ৭/৮ লক্ষ টাকার বিনিময়ে দক্ষ,মেধাবী ও যোগ্য শিক্ষকদের বাদ নিয়ে শুধুমাত্র অর্থের লোভে একজন অযৌগ্য অদক্ষ ব্যক্তিকে অবৈধভাবে উক্ত পদে নিয়োগ দান করেছে। এঘটনা ছড়িয়ে পড়ায় এলাকার অভিভাবকরা স্তম্ভিত হয়ে পড়েছেন শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত নিয়ে। এবিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা এস এম মোমিনুল ইসলাম এই নীতি বিবর্জিত সাধন কুমার দাস ওরফে বিশ^জিৎ দাসসহ তার সহযোগীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি এবং বৈধ প্রার্থীদের দ্বারা পুন:বোর্ড গঠনের দাবিতে জেলা শিক্ষা অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।