নিজস্ব প্রতিনিধি : ভার্চুয়াল আদালতে ধর্ষণ মামলার এক আসামীর জামিন শুনানীকালে পিপিকে কটাক্ষ করার অভিযোগে আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাড. এম শাহ আলমকে মারপিট, তার ল. চেম্বার ভাঙচুরের ঘটনায় প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির নীচের তলায় এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে আইনজীবী সমিতিকে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। আওয়ামী আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. আজাহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাড. এম শাহ আলম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. ইউনুছ আলী, অ্যাড. ওসমান গনি, অ্যাড. আমজাদ হোসেন, অ্যাড. তোজামম্মেল হোসেন তোজাম, অ্যাড. তপন কুমার দাস, অ্যাড. এসএম আশরাফুল আলম অ্যাড. নুরুজ্জামান অ্যাড. সায়েদুজ্জামান সায়েদ, অ্যাড. রফিকুল ইসলাম, প্রমুখ। বক্তারা বলেন, সোমবার দুপুরে এম শাহ আলমের চেম্বারে যে হামলা চালানো হয়েছে তা পূর্ব পরিকল্পিত। আইনজীবী সমিতির নব নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. রেজোয়ান উদ দৌলা সবুজ হামলাকারিদের সঙ্গে থেকে রক্ষক সেজে হামলার সহায়ক হিসেবে কাজ করেছেন। অ্যাড. সৈয়দ একলেছার আলী বাচ্চু, অ্যাড. এবিএম সেলিম, অ্যাড. বদিউজ্জামান বাচ্চু, অ্যাড. নুরুল আমিনসহ কয়েক ভাড়াটিয়া বিএনপি আইনজীবী পিপি অ্যাড, আব্দুল লতিফের সঙ্গে প্রত্যক্ষ হামলা চালিয়েছেন। হামলার শুরুতেই অ্যাড. এসএম হায়দার আলী, অ্যাড, আব্দুল মজিদ(২) ও অ্যাড. সালাউদ্দিন হামলাকারিদের ইন্ধন দিয়েছেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অ্যাড. সালাউদ্দিন রাজাকার ছিল উল্লেখ করে অ্যাড. আজাহারুল ইসলাম বলেন, লতিফের মত নারী লোভী, দূর্ণীতিবাজ ও জাল সার্টিফিকেট ধারাী আইনজীবীর সঙ্গে অপর দূর্ণীতিবাজ অ্যাড. আব্দুল মজিদ ও অ্যাড. এসএম হায়দ]ার আলী হাত মিলিয়েছেন। সমিতিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে তারা পরিকল্পিত হামলা চালিয়েছে। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে জেলা আইনজীবী সমিতিকে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। এর ব্যত্তয় হলে আগামি রোববার থেকে প্রতিবাদ সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিলসহ বিভিন্ন কর্মসুচি পালনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়।#