নিজস্ব প্রতিনিধি : লাবসায় অন্যের পুকুর থেকে মাছ লুট করে বিক্রয়ের অভিযোগ উঠেছে। যদিও ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ বিনেরপোতা মাছবাজার থেকে মাছগুলো জব্দ করেছেন। মঙ্গলবার সকালে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার লাবসা ইউনিয়নের দেবনগর এলাকায় এঘটনা ঘটে। এঘটনায় দেবনগর গ্রামের মৃত জবেদ আলী ফকিরের পুত্র ভুক্তভোগী অজেদ আলী ফকির সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেছেন। এজাহার সুত্রে জানা গেছে, লাবসা মৌজায় জে এল নং-৮৮, এস.এ ৩৭৬ নং খতিয়ানে ১১৩২ দাগে ডাঙ্গা, ৩৯ শতক, ১১৩৩দাগে পুকুর ২২শতক ১১৩৪ দাগে পুকুর পাড় ২শতক সম্পত্তির পৈত্রিক সূত্রে মালিক অজেদ আলী ফকির গংয়ের হলেও সম্প্রতি একই এলাকার মুক্তার আলী সরদারের পুত্র নজরুল সরদার গং জোরপূর্বক দখলের চক্রান্ত শুরু করে। একপর্যায়ে গত ২০১৯ সালের ১৫ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মুক্তার সরদারের পুত্র নজরুল সরদার, সিরাজুল সরদার, শফি সরদার, ইসলাম সরদার,শফি সরদারের পুত্র ইকবাল সরদার, সিরাজুল সরদারের পুত্র আরিফ সরদার, মৃত. শাহাদাৎ গাজীর পুত্র কাদের গাজী, মৃত আকপার গাজীর পুত্র মিজান গাজী, মৃত. মহরম সরদারের পুত্র মনিরুল সরদার উক্ত পুকুর থেকে জোরপূর্বক ১লক্ষ ২৫ হাজার মাছ চুরি করে আত্মসাত করে। এঘটনায় ভুক্তভোগী অজেদ আলী ফকির বাদী হয়ে সাতক্ষীরা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত কর্তৃক আদৃষ্ট হয়ে গত ২৫ নভেম্বর ২০২০ ইং তারিখে কাটিয়া পুলিশ ফাঁড়ীর ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক(নি:) মিজানুর রহমান তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করেন। সেখানে উল্লেখিত নজরুল গং উক্ত পুকুর থেকে মাছ ধরে নিয়ে যায়। যা প্রাথমিকভাবে ৪৪৭/৩৭৯/৫০৬(২)/৩৪ প্যানেল কোড ধারায় অপরাধ বলে প্রমানিত হয় মর্মে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন। এঘটনায় উল্লেখিত নজরুল গং আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং দলীয় প্রভাব খাটিয়ে উক্ত পুকুর জবর দখলসহ মাছ লুটপাট এবং ভুক্তভোগীদের মারপিট ও খুন জখমের হুমকি ধামকি প্রদর্শণ করতে থাকে। একপর্যায়ে গত ২৭ এপ্রিল ২০২০১তারিখ ভোরে নজরুল সরদারের নেতৃত্বে রাশেমের পুত্র ফরিদসহ উল্লেখিত ব্যক্তিরা আবারো উক্ত পুকুর থেকে জাল দ্বারা রুই, কাতলা, মৃগেলসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ১লক্ষ টাকা মূল্যের মাছ লুটকরে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে ভুক্তভোগী অজেদ আলী ফকির ৯৯৯ এ ফোন দিলে সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ বিনেরপোতা বাজার থেকে উক্ত মাছ বিক্রয়ের সময় জব্দ করেন। এঘটনায় প্রতিকার চেয়ে ভুক্তভোগী থানায় এজাহার দায়ের করলে বিষয়টি তদন্তের জন্য কাটিয়া ফাঁড়ির ইনচার্জের উপর দায়িত্ব প্রদান করেন। ভুক্তভোগী অজেদ ফকির জানান, উল্লেখিত নজরুল সরদার গং দীর্ঘ দিন ধরে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে এলাকার নিরীহ মানুষের পুকুর থেকে মাছ লুট, চাঁদা আদায়সহ নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। বাধা দিতে গেলে মারপিট ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে হয়রানিসহ অত্যাচার নির্যাতন চালিয়ে আসছে। তিনি উল্লেখিত নজরুল গংদের দ্রুত গ্রেফতার পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।