অর্থনীতি

মুনিয়ার ফ্ল্যাট থেকে ৬ ডায়েরি উদ্ধার, বসুন্ধরার এমডির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

By Daily Satkhira

April 27, 2021

দেশের খবর : কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়ার ফ্ল্যাট থেকে ছয়টি ডায়েরি ও দুটি মোবাইল উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসব ডায়েরিতে কী লেখা আছে তা যাচাই করছে পুলিশ।

রাজধানীর গুলশানে অভিজাত একটি ফ্ল্যাট থেকে মুনিয়ার মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার আলামত হিসেবে এগুলো উদ্ধার করা হয়।

এর আগে সোমবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় মুনিয়ার মরদেহ উদ্ধারের পর গুলশান থানায় মামলা করেন তার বড় বোন নুসরাত জাহান।

এতে আসামি করা হয় বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরকে। তার বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ আনা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।

মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) রাতে গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সুদীপ কুমার চক্রবর্তী জানান, মুনিয়ার মরদেহ উদ্ধারের পর সেখান থেকে তার মোবাইলসহ বিভিন্ন ধরনের আলামতের সঙ্গে ৬টি ডায়েরি পাওয়া যায়। এসব ডায়েরিতে কী লেখা আছে তা যাচাই করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, গত ১ মার্চ ওই তরুণী একাই ফ্ল্যাটটিতে উঠেন। সব মিলিয়ে বাড়িওয়ালার সঙ্গে এক লাখ ১১ হাজার টাকার ভাড়ার চুক্তি ছিল। প্রায় পৌনে দুই মাস ওই ফ্ল্যাটে অবস্থান করেন মুনিয়া।

ডিসি আরও বলেন, ওই ফ্ল্যাটে মুনিয়া একা থাকার কথা বলা হলেও কে কে আসা-যাওয়ার মধ্যে থাকত তা জানতে ভবনের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া ডায়েরির সঙ্গে সেগুলো যাচাই চলছে।

সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, মামলার তদন্তের প্রয়োজনে সায়েম সোবহানের দেশ ত্যাগের বিষয়ে আদালতের কাছে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়, যা আদালত মঞ্জুর করেন। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম এ আদেশ দেন।

এ বিষয়ে আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) মোহাম্মদ আলমগীর হোসেইন বলেন, ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আজ এ মামলার এজাহার ও এফআইআর এসে পৌঁছালে আগামী ৩০ মে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেন। এ ছাড়া মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামি বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আবেদন করলে বিচারক তা মঞ্জুর করেন।

‘এখন আমরা অপেক্ষা করছি ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের জন্য। আপাতত বিষয়টি হ্যাংগিং মনে হলেও প্রতিবেদন থেকে জানা যাবে কিভাবে তার মৃত্যু হয়েছে।’

এরপরেই তদন্তের গতি নির্ধারণ হবে বলে জানান গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সুদীপ কুমার চক্রবর্তী।

এদিকে মুনিয়ার মরদেহ কুমিল্লায় তার মা-বাবার কবরের পাশে সমাহিত করা হয়েছে। মঙ্গলবার বাদ আসর জানাজা শেষে কুমিল্লা শহরের টমছমব্রিজ কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

উল্লেখ্য, গত সোমবার (২৬ এপ্রিল) রাতে গুলশান ২-এর ১২০ নম্বর সড়কের ওই ফ্ল্যাট থেকে মুনিয়ার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি রাজধানীর একটি কলেজের উচ্চমাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। একাই থাকতেন ফ্ল্যাটে। তবে তার পরিবার থাকে কুমিল্লা শহরে।