আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাড. এম শাহ আলমের ল-চেম্বারে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় আইন শৃঙ্খলা বিঘœকারি অপরাধ দ্রুত বিচার আইনের ৪ ও ৫ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহষ্পতিবার অ্যাড. শাহ আলম বাদি হয়ে সাতক্ষীরার আমলী প্রথম আদালতে ১০জন আইনজীবীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১০ জনের নামে এ মামলা দায়ের করেন। বিচারক মোঃ রেজোয়ানুজ্জামান আগামি ১৬ মে’র মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পিবিআই সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার আসামীরা হলেন, অ্যাড. এসএম হায়দার আলী, অ্যাড. এসএম সালাহ উদ্দিন, অ্যাড. আব্দুল মজিদ(২), অ্যাড. নিজামউদ্দিন, অ্যাড. এখলেছার আলী বাচ্চু, জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. আব্দুল লতিফ, অ্যাড. এবিএম সেলিম, অ্যাড. খায়রুল বদিউজ্জামান বাচ্চু, অ্যাড. নুরুল আমিন ও অ্যাড. সাইদুজ্জামান জিকো। মামলার বিবরনে বলা হয়েছে, গত ২৬ এপ্রিল সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে একটি ধর্ষণ মামলার আসামীর জামিন শুনানী ছিল। আসামী পক্ষে জামিন শুনানীতে অংশ নেন আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাড. এম শাহ আলম। জামিনের বিরোধিতা করার একপর্যায়ে অ্যাড. শাহ আলম ক্ষুব্ধ হয়ে অ্যাড. আব্দুল লতিফকে কটাক্ষ করেন। বিচারক ওই আসামীকে জামিন দেওয়ার পরপরই উক্ত আসামীরা আইনজীবী সমিতির তৃতীয় তলায় অ্যাড. শাহ আলমের চেম্বারে ঢুকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজের পর তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে চেয়ার দিয়ে মাথা লক্ষ্য করে আঘাত করার চেষ্টা করে। কয়েকজন আইনজীবী তাকে মাটিতে ফেলে দিয়ে পানির বোতল ও চেয়ার দিয়ে হত্যার চেষ্টা করেন। কয়েকজন আইনজীবী ইট ও লাঠি দিয়ে অ্যাড. শাহ আলমের চেম্বারের দরজা ও জানালার গ্লাস ভাঙচুর ও এসি লাইনের তার ছিঁড়ে ফেলে ৮০ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করেন। হামলাকারিরা ত্রাস সৃষ্টি করে ভাঙচুর করেন চেম্বারের চেয়ার ও আসবাবপত্র। সাতক্ষীরা জজ কোর্টের সাবেক পিপি অ্যাড. তপন কুমার দাস মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশান (পিবিআই) এর সাতক্ষীরা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লস্কর জায়াদুল হক জানান, মামলার নথি পেলেই যথা সময়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন আদালতে পাঠানো হবে। এদিকে, বিবাদমান এ ঘটনায় দু’টি গ্রুপ বৃহষ্পতিবার বেলা ১১টায় আদালত চত্বরে পাল্টাপাল্টি মানববন্ধন কর্মসুচির ডাক দিলে করোনা পরিস্থিতিকে মাথায় রেখে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ তা বন্ধ করে দেয়।
উল্লেখ্য ঃ এর আগে পিপি অ্যাড. আব্দুল লতিফকে কটুক্তি করার অভিযোগে তিনি বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে অ্যাড. এম শাহ আলমের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।