নিজস্ব প্রতিনিধি : মাদক ব্যবসায়ীদের উস্কানিতে স্ত্রীকে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করেছে মাদকাসক্ত স্বামী। স্ত্রীকে কুপিয়ে ক্ষ্যান্ত হয়নি ওই স্বামী স্ত্রীর ভাইদেরকেও খুন জখমসহ মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির হুমকি প্রদর্শন করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ৩০ এপ্রিল ২০২১ তারিখ সকাল সাড়ে ৬টার দিকে দেবহাটা উপজেলার বহেরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত স্ত্রী রেবেকা খাতুন(৪০) আলীপুর ঢালীপাড়া গ্রামের মৃত. রইচউদ্দিন সরদারের কন্যা। বর্তমানে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে গুরুতর আহত অবস্থায় অসহ্য যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছেন। রেবেকা খাতুনের পরিবার জানায়, বিগত ১৫/১৬ বছরপূর্বে পারিবারিক ভাবে বহেরা গ্রামের আজগার সাহাজীর পুত্র মোজাম্মেল সাহাজীর সাথে বিবাহ হয়। বিবাহের পর হতে প্রায়ই নেশাগ্রস্থ হয়ে বাড়িতে এসে স্ত্রীকে মারপিট করতো মোজাম্মেল সাহাজী। কিন্তু রেবেকা খাতুন নিরবে সহ্য করে আসছিল। ইতোমধ্যে তার ঔরশে রেবেকার গর্ভে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু তারপরও মাদকাসক্ত মোজাম্মেল সাহাজী সুস্থ্য না হয়ে অত্যাচারের মাত্রা আরো বাড়িয়ে দেয়। উপায়ন্তর হয়ে তার কাছ থেকে রেবেকা খাতুনকে তালাক করিয়ে নেওয়া হয়। এর কিছুদিন পর মোজাম্মেল সাহাজী দাড়ী টুপি পরে সুস্থ্য স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন মর্মে পুনরায় রেবেকাকে স্ত্রীকে হিসেবে গ্রহণ করে সংসার করার ইচ্ছা পোষন করে এবং বিভিন্ন ভাবে আকুতি মিনতি করতে থাকে। একপর্যায়ে সরল বিশ^াসে পুনরায় তার সাথে রেবেকার বিবাহ প্রদান করা হলে নিজ বাড়িতে না গিয়ে শ^শুর বাড়িতে বসবাস করতে থাকে। কিছুদিন পর আলীপুর এলাকার বদর উদ্দীনের পুত্র চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী আবুল হোসেন ওরফে বড় বাবুর সাথে সু-সম্পর্ক তৈরি হয়। একপর্যায়ে আবারো মোজাম্মেল সাহাজী মাদকের সাথে জড়িয়ে পড়ে এবং মাদক ব্যবসায়ী বড় বাবু ও তার মাতা আছিয়া খাতুনের কু-পরামর্শে আবারো রেবেকা খাতুনকে মারপিট করতে থাকে। এদিকে আছিয়া খাতুন রেবেকাকে ভুল বুঝিয়ে বহেরার শ^াশুর বাড়িতে পাঠায় এবং মোজাম্মেল সাহাজীকে উস্কানি দিয়ে সেখানে পাঠিয়ে দেয়। ওই দিন মোজাম্মেল সাহাজী আছিয়া খাতুনের উস্কানিতে নিজ বাড়িতে ফেলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রী রেবেকা খাতুনকে কুপিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে মারাত্মক জখম করে। এ সময় রেবেকার ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। রেবেকার মাথা, হাত,পা সহ শরীরের একাধিক স্থানে জখম হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উক্ত ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছিল বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। ভুক্তভোগী পরিবারটি ওই উস্কানী দাতা মাদক ব্যবসায়ী এবং মাদকাসক্ত মোজাম্মেল সাহাজীর শাস্তির দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।