নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রেজাউল ইসলাম রেজার বিরুদ্ধে প্রতারনার মাধ্যমে ১ সন্তানের জননীকে বিবাহ করে আবার ডিভোর্সে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় ইতোমধ্যে ভুক্তভোগী ওই নারী কলারোয়া থানায় সাধারণ ডায়েরিও করেছেন। তবে এলাকাবাসীর সূত্রে জানাগেছে, প্রথম স্বামীর ঘরে মেহেজাবিন সুলতানার সাড়ে তিন বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। ভুক্তভোগী ওই নারী মেহেজাবিন সুলতানা (২৫) কলারোয়া উপজেলার বিক্রমপুর গ্রামের মৃত. রবিউল হোসেন বিশ^াসের মেয়ে ও উপজেলার চন্দনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। ছাত্রলীগ নেতা রেজাউল ইসলাম রেজা (৩০) সাতক্ষীরা সদরের আলিপুর গ্রামের খবির উদ্দীন গাজীর ছেলে। যদিও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রেজা বলছেন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে আমার রাজনীতি নষ্ট করার ষড়যন্ত্র চালানো হচ্ছে। মেহেজাবিন সুলতানা জানান, আমার পূর্বের সন্তানের কথা জেনেও মিথ্যা আশ^াসে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে রেজা। পরে আমাকে নিয়ে ঘর সংসার করার আশ^াস দিলে ২০২০ সালের ১৮ নভেম্বর আমরা গোপনে বিয়ে করি। তবে বিয়ের বিষয়টি গোপন রাখতে বলে। কিন্তু একদিনের জন্য তার বাড়িতে তুলে রেজা। এরপর থেকেই আমার উপর শারিরীক ও মানষিক নির্যাতন শুরু করে রেজা। ডিভোর্স দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। আমাকে ও পরিবারের উপর হুমকি দিতে থাকে। বাধ্য হয়ে গত রোববার (২ মে) আমি তাকে ডিভোর্স দিয়েছি। এরপরও নানাভাবে হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন অব্যাহত রেখেছে। নিরাপত্তার মঙ্গলবার (৪ মে) রাতে কলারোয়া থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছি। ডিভোর্স দেওয়ার পরও আমাকে হুমকি দিচ্ছে, আমি এই ছাত্রলীগ নেতার বিচার দাবি করছি। অন্যদিকে, অভিযোগের বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রেজাউল ইসলাম রেজা বলেন, আমি তাকে বিয়ে করেছি সংসার করার জন্য। কিন্তু তাকে বাড়িতে আনতে ব্যর্থ হয়েছি। সে বাড়িতে না এসে নানাভাবে আমাকে হয়রানি করার চেষ্টা করছে। আগামী সম্মেলনে আমি জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী হওয়ায় আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা তাকে দিয়ে এসব করাচ্ছেন। তিনি জানান, আর কারো স্ত্রী যদি মধ্যরাতে অন্যের মোটর সাইকেলে বাইরে ঘুরে বেড়ায় তবে তাকে শাসন করা মানে নির্যাতন করা নয়। অন্যের সঙ্গে ঘুরে বেড়ালে নিষেধ করলেও মানেনি তখন হয়তো তাকে দুই একটি চড় থাপ্পড় দিয়েছি। আমি তাকে নিয়েই সংসার করতে চাই। তবে সে চাই না। আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে এসব করছে, বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ দিচ্ছে। কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর খায়রুল কবীর বলেন, মেয়েটি তার স্বামীকে ডিভোর্স দিয়েছে। এরপরও তার স্বামী তাকে এডিস মারার হুমকি দিচ্ছে বলে মেয়েটি জানিয়েছে। এরপর ঘটনাটি সাধারণ ডায়েরী হিসেবে নথিভুক্ত করে আদালতে পাঠানো হচ্ছে।