সাতক্ষীরা

পরোকিয়ার কারনেই হত্যা করা হয় আলমগীর হোসেনকে : পুলিশের ব্রিফিং

By daily satkhira

May 08, 2021

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার আলোচিত আলমগীর হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। পরোকিয়ার কারনেই হত্যা করা হয় আলমগীর হোসেনকে। শনিবার সাতক্ষীরা সদর থানায় অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান সদর থানার অফিসার ইনচার্জ দেলোয়ার হোসেন। এসময় সাতক্ষীরা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সজিব খান, সদর সার্কেল শামসুজ্জামান সামস, সদর থানার ইন্সপেক্টর(তদন্ত) বুরহান উদ্দীন উপস্থিত ছিলেন। পুলিশ জানায়, স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে ৭ মে ২০২১ ভোরে পুলিশ শহরের বচকরা পশ্চিমপাড়ার একটি পুকুর থেকে একই এলাকার নজরুল ইসলামের পুত্র আলমগীর হোসেনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এসময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জাকির এবং ই¯্রাফিল নামের দুইজনকে আটক করা হয়। উক্ত ঘটনার সাথে জকিরের সম্পৃক্ততা না থাকায় তাকে ছেড়ে দেওয়ায়। আটক ই¯্রাফিল অকপটে হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে পুলিশে কাছে। ই¯্রাফিলের বরাত দিলে পুলিশ জানায়, নিহত আলমগীর ও ই¯্রাফিল দুইজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলো। একই এলাকার আব্দুল জলিলের স্ত্রীর সাথে আলমগীরের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। জলিলের স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার জন্য আলমগীর ই¯্রাফিলের সাথে পরামর্শ করে গত ৫ মে২০২১ বিকালে তাকে (জলিলের স্ত্রীকে) ই¯্রাফিলের এক আতœীয়ের বাসায় রেখে আসে। পরের দিনে তাদে ঢাকা বা অন্য কোথায় যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আলমগীরের কাছে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় যেতে পারেনি। হত্যাকান্ডের পূর্ব মুহুর্তে ঘটনাস্থলে বসে আলমগীর ও ই¯্রাফিলের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আলমগীর ই¯্রাফিলকে বলে জলিলের স্ত্রীকে “আমি নিতে পারছি না, তুই নিবি।” এতে উত্তেজিত হয়ে ই¯্রাফিলের হাতে থাকা বিদ্যুতের তার দিয়ে আলমগীরের গলায় পেচিয়ে হত্যা করে। ই¯্রাফিলের স্বীকারোক্তি মোতাবেক নিহত আলমগীরের ব্যবহৃত টর্চ লাইট উদ্ধার হয় এবং মোবাইলটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। এদিকে নিহতের মা সুফিয়া খাতুন ওরফে হাজেরা বাদী হয়ে আ: সাত্তারের পুত্র আহসান, ওয়াজেদ আলীর পুত্র বিল্লাল, নজির উদ্দীনের পুত্র জলিল, ও হাফিজুর রহমানের পুত্র ই¯্রাফিলকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। যার নং- ১৮, ০৭/০৫/২০২১। আসামীদের মধ্যে ই¯্রাফিল আটক রয়েছে। বাকী আসামীদের আটকের জন্য পুলিশি অভিযান চলমান রয়েছে। তবে হত্যাকান্ডের সাথে জলিলের স্ত্রীসহ আর কেউ জড়িত আছে কিনা পরবর্তী তদন্তে জানাযাবে। মামলার তদন্তকারী অফিসার এস আই ওহিদুল ইসলামকে নিযুক্ত করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।