দেশের খবর : বুধবারও চলবে সরকারি অফিস। রমজান মাস ৩০ দিন ধরে সরকারি যে ছুটির তালিকা তৈরি করা হয়েছে, বিশেষ পরিস্থিতিতে সেটাই অনুসরণ করছে সরকার। তবে ২৯ রোজায় সাধারণত অফিস খোলা থাকে না বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, মূলত করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে ২৯ রোজায় বিশেষভাবে অফিস খোলা রাখা হচ্ছে। কারণ ঈদের ছুটিতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তো কর্মস্থলেই থাকতে হচ্ছে।
জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুন বলেন, ‘ছুটির ক্যালেন্ডার অনুযায়ী আগামীকাল অফিস খোলা থাকবে।’
দীর্ঘদিন ধরে ঈদের ছুটির ক্ষেত্রে অনুসরণীয় নিয়ম হচ্ছে, ঈদের আগের দিন, ঈদের দিন এবং ঈদের পরের দিন ছুটি থাকে। রমজান মাস কখনো ২৯, কখনো ৩০ দিনে শেষ হয়। ২৯ রমজান ধরেই ঈদের ছুটি দেয়া হয়। যদি রমজান মাস ৩০ দিনে শেষ হয় সেক্ষেত্রে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চারদিন ছুটি পেয়ে থাকেন। ৩০ রমজানের ক্ষেত্রে ঈদের আগে দুদিন, ঈদের দিন ও ঈদের পরের দিন-এই চারদিন ছুটি থাকে।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বৃহস্পতি বা শুক্রবার (১৩ বা ১৪ মে) দেশে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। এবার সরকারি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, রমজান মাস ৩০ দিন ধরে ঈদের ছুটি নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩, ১৪ ও ১৫ মে (বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার)।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রমজান মাস ৩০ দিনে হচ্ছে এটি নিশ্চিতভাবে ধরার সুযোগ নেই। আমরা ২৫ বছরের চাকরি জীবনে এটা দেখিনি। সবসময় দেখেছি ২৯ রোজা থেকে সরকারি ছুটি শুরু হয়। রোজা ২৯টা হলে ঈদের দিন এবং ঈদের পরদিন ছুটি থাকে। তবে রোজা ৩০টা হলে ঈদের আগে দুদিন আর ঈদের দিন ও ঈদের পরদিন ছুটি থাকে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে বিধিনিষেধ (লকডাউন) চলছে এখন। লকডাউন বহাল থাকলে আগামী ১৬ মে পর্যন্ত।
গত ৫ মে’র মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীদের ঈদের ছুটিতে বাধ্যতামূলকভাবে কর্মস্থলে থাকতে হবে। নির্দেশনায় বলা হয়, সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঈদের ছুটিতে আবশ্যিকভাবে নিজ নিজ কর্মস্থলে (অধিক্ষেত্রে) অবস্থান করবেন।