কে এম রেজাউল করিম দেবহাটা : দেবহাটা সহ দেশের সর্বত্রই ভাপসা গরমে সিদ্ধ হচ্ছে মানুষ। কখনও আকাশে ঘন কালো মেঘ দেখা গেলেও বৃষ্টি বৃষ্টির দেখা মিলছে না দীর্ঘ পতিক্ষায়। যখন আকাশে একটু মেঘ, দেখে অনেকে মনে করেন এখনি বুঝি নামবে বৃষ্টি, কিন্তু কোথায় বৃষ্টি? কিছুক্ষণের মধ্যে সূর্য মামার ঝঁলকানি হাসি। বাংলা বছরের মিষ্টি মধুর ফলের সমাহার জ্যৈষ্ঠ মাস। ইতোমধ্যে জ্যৈষ্ঠ মাসের কয়েক দিন অতিবাহিত হলেও অন্যবছরের তুলনায় গরমের তীব্রতা যেন একেবারেই কমছে না, বরং দিন দিন বেড়েই চলেছে।
এদিকে আবহাওয়াবিদরা বলছেন অন্য কথা। তাদের তথ্যমতে আগামি কয়েক দিনে দেশের তাপমাত্রা আবারো বেড়ে যেতে পারে। গরম থেকে একটু স্বস্থি পেতে পথচারি সহ সাধারন মানুষ ভীড় জমাচ্ছেন ঠান্ডা শরবত, আইসক্রিমমের দোকান গুলোতে। গ্রাম্য পরিবার গুলোতে লবন, পানি, লেবু ও চিনি দিয়ে শরবত তৈরি করে পরিবারের সদস্যদের তৃষ্ণা মেটাচ্ছেন। এ দিকে গরমের তীব্রতায় মৎস ঘের, পুকুরে মাছ মারা যাচ্ছে। এক দিকে যেমন ব্যবসায়িরা ক্ষতির সম্মুখিন, অন্যদিকে মৎসঘের বা পুকুরে মাছ মরে পঁচে পরিবেশে দূষনের সম্ভবনা দেখা দিচ্ছে।
গবাদি পশুর খামার গুলোতে এই ভ্যপসা গরমে দুধের উৎপাদন কমে যাচ্ছে বহু অংশে। গবাদি পশুর স্বাস্থ্যহানীও বেড়ে চলেছে। শুধু গবাদি প্রাণি নয়, সাধারন মানুষও বিভিন্ন রোগ—শোগে আক্রান্ত হচ্ছে এবং যার প্রভাব দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। হাসপাতাল গুলোতো দেখাগেছে বাড়তি রুগির চাপ। কিন্তু গরমের প্রতিবন্ধকতা কে হার মানিয়ে সাধারন মানুষ ছুটছে নিজ নিজ কর্মস্থলে। অতিরিক্ত বনভূমি নিধন এবং মানব সৃষ্ট বিভিন্ন কারনে পরিবেশ দূষন করছে। দেবহাটার কাচামাল ব্যবসায়ী দাইদ গাজী জানান, কয়েকদিনের তীব্র গরমে মানুষ নাজেহাল হয়ে গেছে। কাঁচা সবজি বিক্রির আগে শুকিয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টি না হওয়ায় খেতে ফসল মরা যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। তাপ বাড়লে সবজি ও ফসলের ব্যাপক সংকট দেখা দিতে পারে।
দেবহাটার মাছ চাষি লাল্টু জানান, তীব্র গরমে পানি শুকিয়ে যাচ্ছে।প্রতিদিন ৫ লিটার ডিজেল পুড়িয়ে পানি উত্তোলন করা লাগছে। আবার তীব্র গরমে মাছ মারা যাচ্ছে। বাড়তি খরচ করে পাশের সেচ পাম থেকে পানি সংগ্রহ করতে হচ্ছে। আগামী কয়েক দিনে বৃষ্টি না হলে মাছের মারা যেয়ে ব্যাপক ক্ষতিরমুখে পড়তে হবে।
দুগ্ধ ব্যবসায়ী অসিম ঘোষ জানান, গরমের প্রভাবে গরুর খাবার খাওয়া কমে গেছে। আর এতে গরুর দুধ কমতে শুরু করেছে। এই মুহূর্তে বৃষ্টির প্রয়োজন।