প্রেস বিজ্ঞপ্তি : সাতক্ষীরার আশাশুনির কোলায় ঘের নিয়ে ভন্ড আমজাদ কর্তৃক হয়রানি ও মিথ্যাচারের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন আশাশুনির কোলা গ্রামের মির্জা কামরুজ্জামান, মোঃ আশরাফ আলী, মোঃ নাজির আলম, আফসার উদ্দীন শেখ ও মির্জা মিলন হোসেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মির্জা কামরুজ্জামান বলেন, কোলা মৌজায় মরহুম বসির আহমেদ রেকর্ডীয় এবং খাস ৭০৩ বিঘা জমিতে মাছের ঘের করতেন। তার মৃত্যুর পর আমরা জমির মালিকরা মিলে উক্ত মাছের ঘের পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেই এবং ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে আমি না থাকলেও দেখভাল করতাম। কিন্তু কিছুদিন পর মৃত অহেদ আলী মোল্ল্যার ছেলে আমজাদ হোসেন ঘেরে থাকা খাস জমি দখলের পায়তারা শুরু করে। এতে আমিসহ অন্যরা বাধা দিলে আমজাদ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং বিভিন্নভাবে হয়রানি করতে থাকে। এনিয়ে আশাশুনি থানাসহ জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একাধিকবার শালিস হলেও ঘেরে কতটুকু জমি আছে আমজাদ তার হিসাব না জানিয়ে খাস সম্পত্তি দখলে নেওয়ার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে থানার ওসি’র নির্দেশে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তির উপস্থিতিতে হিসাব করে তার ভাগে ৬৭ বিঘা জমি পড়লে তা বের করে দিয়ে আমরা বাকী জমি নিয়ে ঘের পরিচালনা শুরু করি। এতে খুশি না হয়ে সে আরো সম্পত্তি দখলের অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। আমজাদ আমাদের হয়রানি করার জন্য বিভিন্ন দপ্তরে ভিত্তিহীন অভিযোগ দায়েরসহ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মিথ্যেচার করছেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, একাধিক মামলার আসামী আমজাদ ম্যাগনেট, টক্ক সাপ ও ভুতুম পেচা ব্যবসায়ী। জাল টাকা কারবারের সাথে তার যোগাযোগ রয়েছে। মুর্তি চুরির অপরাধে বাগেরহাট প্রতœতত্ত্ব অফিস থেকে তাকে চাকুরিচ্যুত করা হয়। প্রতারনা করে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া তার ব্যবসা। প্রতারনার মাধ্যমে ২০১০ সালে জনৈক মাফাজ্জেল হোসেনের কাছ থেকে সে ৩ কোটি ১৪ লক্ষ টাকা আত্মসাত করে। এঘটনায় জেলে যেতে হয় তাকে। তার বাড়িতে প্রতিনিয়ত ভিন্ন জেলার মানুষ আসা যাওয়া করায় এলাকার মানুষ সব সময় অতংকে থাকে। বিগত ২০১৬ সালে নৌকার অফিস ভাংচুর এবং জাতির জনকের ছবি ছেড়ার অভিযোগে আমজাদের নামে মামলা হয়। অথচ সেই আমাদেরকে স্বাধীনতা বিরোধী বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে। মির্জা কামরুজ্জামান আরো বলেন, প্রকৃতপক্ষে আমজাদ একজন ভূমিদস্যু। তার পৈত্রিক কোন সম্পত্তি নেই। উক্ত ঘেরে যে টুকু সম্পত্তি রয়েছে সেটি তার নানা বাড়ির সম্পত্তি। তার নিজস্ব কোন ব্যবসা বা আয়ের উৎস না থাকলেও সে কোটি টাকার মালিক। বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য প্রশাসনে প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি। এছাড়া ২০১৩ সালে র্যাব আমাকে আটক করেনি। আমার বিরুদ্ধে কোন মামলা নেই। অথচ আমজাদ র্যাবকে নিয়েও মিথ্যেচার করেছেন। আমরা কালোবাজারী আমজাদের কবলে পড়ে দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর ধরে হয়রানির শিকার হচ্ছি। তিনি আমজাদের হয়রানির হাত রক্ষা পেতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।