শ্যামনগর প্রতিনিধি : শ্যামনগরের ঐতিহ্যবাহী নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শ্যামনগর আতরজান মহিলা মহাবিদ্যালয়ে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগে লগডাউনের মধ্যে বিজ্ঞ আদালতে আপিল মামলা উপেক্ষা করে ৩০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে নাশকতার মামলার আসামী চিহ্নিত জামায়াতের হেভিওয়েট নেতা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী ব্যক্তি অত্র কলেজের উপাধ্যক্ষ আমীর হোসেনকে নিয়োগ দেওয়ার পাঁয়তারা চলছে। ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী অবসরে গেলে অধ্যক্ষ পদটি শূন্য হওয়ায় বেসরকারী কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগের সকল বিধিবিধান অনুসরণ করে কলেজের গভর্নিং বডি এ কে এম মিজানুর রহমান কে নিয়োগ প্রদানের সুপারিশ করেন। অধ্যক্ষ নিয়োগের জন্য চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বরাবর আবেদন করা হয়।
কলেজ কর্তৃপক্ষ মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে ১৬৩৪৪/২০১৬নং রীট পিটিশন করেন। রীট পিটিশনটি প্রত্যাহার হওয়ায় এ কে এম মিজানুর রহমানের অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ বহাল দাবী করেন।
অথচ অধ্যক্ষ পদটি শূন্য দেখিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বিরুদ্ধে বিজ্ঞ শ্যামনগর সহকারী জজ আদালত সাতক্ষীরা দপ্তরে প্রতিষ্ঠানটির অভিভাবক সদস্য বজলুর রশিদ বাদী হয়ে দেং-১৫৩/২০২০নং মামলা করেন। মামলার রায়ে বাদীপক্ষ বজলুর রশিদের অনুকূলে না হওয়ায় পুনরায় বিজ্ঞ জেলা জজ আদালত সাতক্ষীরা মিস্ আপীল ০৪/২০২১নং মামলা করেন। বিজ্ঞ আদালত বিবাদী পক্ষকে পরবর্তী ধায্য তারিখে হাজির হওয়ার জন্য নোটিশ প্রদান করেন । মঙ্গলবার ২৫ মে আপীল মামলার শুনানির দিন ধায্য আছে। এ পর্যন্ত ৬ বার উক্ত জামায়াত নেতাকে নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন। অথচ নোটিশটি অদৃশ্য কারণে গোপন রেখে বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে ৩০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া করা হচ্ছে মর্মে অভিযোগ উঠেছে।
আপীল কেসটির পরবর্তী ধার্যকৃত দিন থাকা ও নিয়োগ না দেওেয়ার জন্য উকিল নোটিশ পাঠানোর স্বত্বেও অধ্যক্ষ পদটিতে বিভিন্ন কৌশলে ২৮ মে ২০২১ শুক্রবার অতি কৌশলে ছুটির দিন নিয়োগ বোর্ড বসিয়ে নিয়োগের অপচেষ্টা করা হচ্ছে। কলেজের উপাধ্যক্ষ আমীর হোসেনের বিরুদ্ধে সরাসরি জামায়াতের সক্রিয় সদস্য ও অংশ গ্রহনের সম্পৃক্ততা থাকা সত্ত্বেও তাকে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দিতে এখন শুধু আনুষ্ঠানিকতার অপেক্ষায়। পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে জামায়াত নেতা আমীর হোসেন কে অবৈধভাবে নিয়োগ দিতে অপচেষ্টা করা হচ্ছে মর্মে একাধিক ব্যক্তিরা জানিয়েছেন। ২০১৩ সালে শ্যামনগর থানার এস.আই আকরাম হোসেন বাদী হয়ে এই জামাতের হেভিওয়েট নেতা আমির হোসেন এর বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা করেন। সেই মামলা নং ০৬।
অধ্যক্ষ এ.কে.এম মিজানুর রহমান বিদেশে অবস্থান করায় মহামারী করোনার কারণে দেশে ফেরৎ আসতে পারছেন না। আতরজান কলেজের গভনিং বডির সভাপতি এস এম আফজালুল হক মিজানুর রহমানের অনুপস্থিতি দেখিয়ে বিভিন্ন অপকৌশলে উপাধ্যক্ষ জামাত নেতা আমীর হোসেন কে ৩০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দেওয়ার অপচেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মুন্সীগঞ্জ কলেজের প্রভাষক মোশারফ হোসেন। গভনিং বড়ির সভাপতি আফজালুল হক জানান, নিয়োগ বোর্ডের ডিজি মহোদয়ের প্রতিনিধি বা নিয়োগ বোর্ডে আপিল মামলার বিষয়টি জেনে তারাই নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন বা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেবেন।
উপাধ্যক্ষ আমীর হোসেন জানান, আমি আগে জামায়াতের একজন সক্রিয় সদস্য ছিলাম এখন আর জামায়াত করিনা।আমি পত্রিকার বিজ্ঞপ্তি দেখে অধ্যক্ষ পদে আবেদন করেছি। এ ব্যাপারে বিজ্ঞ আদালতের নোটিশের প্রেক্ষিতে এবং আপিল মামলা নং ০৪/২০২১ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত অধ্যক্ষ পদে পুনরায় নিয়োগ ও মুক্তিযোদ্ধাদের বিপক্ষের শক্তি নাশকতা মামলার আসামি জামায়াত নেতা আমির হোসেন কে নিয়োগ না দেওয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর সহ যথাযথ কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে অত্র এলাকার মুক্তিযুদ্ধাদের স্বপক্ষের ব্যক্তি ও সুধী সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ ।