মাদক দিয়ে ফাঁসানো ও জমি দখলে সহায়তা এবং ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসিসহ তিন কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তারা হলেন- ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহা. সরাফত উল্লাহ, পরিদর্শক(তদন্ত) আবুল হোসেন ও এসআই ওমর ফারক। মঙ্গলবার (২৩ মে) দুপুরে তাদেরকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা থেকে প্রত্যাহার করে নগরীর মাসদাইরে অবস্থিত পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। জেলার পুলিশ সুপার মঈনুল হক এ তথ্য জানিয়েছেন। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি সরাফত উল্লাহ ওই এলাকায় বিভিন্ন মানুষের জমি দখল, নিরীহদের হয়রানিসহ নানা অভিযোগে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ জমা পড়ে। যেগুলো তদন্তাধীন রয়েছে। এর আগে, নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের থানার ওসি মহা. সরাফত উল্লাহসহ তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মাদক মামলায় ফাঁসানোর পাশাপাশি জমি দখলে ভূমিদস্যুদের সহযোগিতা করার অভিযোগ করেন বিধবা নারী আছমা বেগম। তিনি অভিযোগ করেন, তার ছোট ভাই মোহাম্মদ আলীসহ ৩ জনকে মাদক সেবনের মিথ্যা অভিযোগ ও কয়েক দফা ঘুষ নেওয়াসহ ১৮ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। এই ঘটনায় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(প্রশাসন) মোস্তাফিজুর রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে এবং তদন্ত কমিটিকে ৫ কার্য দিবসে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
কারাগারে ১৯ দিন আটক থাকার পর গত ১৬ মে আছমা বেগমের ভাই মোহাম্মদ আলী, মেয়ে জামাতা ইউসুফ ও ওমর ফারুক কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান। গঠিত তদন্ত কমিটি তদন্তে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি সরাফত উল্লাহ, পরিদর্শক আবুল হোসেন এবং এসআই ফারুক হোসেনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মাদক দিয়ে ফাঁসানো ও জমি দখলে সহায়তা এবং ঘুষ নেওয়ার অভিযোগের সত্যতা পান এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সুপারিশ করেন। গত ২১ মে বিধবা নারী আছমা বেগমকে পুলিশ হেডকোয়ার্টাসে ডেকে নিয়ে তার বক্তব্য নেওয়া হয়। এই ঘটনায় আজ অভিযুক্ত থানার ওসি সরাফত উল্লাহ, থানার পরিদর্শক(তদন্ত) আবুল হোসেন ও এসআই ওমর ফারুক প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।