সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরায় বোন ও ক্যাডেট ভাগ্নে আরিফ সহ দুই ভাইয়ের কাছ থেকে পৈত্রিক সম্পত্তি উদ্ধারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

By daily satkhira

May 30, 2021

প্রেস বিজ্ঞপ্তি :  সাতক্ষীরায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বরিশাল ক্যাডেট কলেজের ছাত্র ক্যাডেট আরিফ এর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে তার মামাকে মারপিট করার অভিযোগ উঠেছে। রবিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মাগুরা গ্রামের মৃত খন্দকার অবুল খায়েরের ছেলে খন্দকার আব্দুল করিম এই অভিযোগ করেন। রিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে আমার ভাই খন্দাকর রফিকুল আলম সেলিম, খন্দকার হারুন উর রশিদ চান্দু এবং বোন সদর উপজেলা উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা আরুফা সুলতানার সাথে বিরোধ চলে আসছিল। উল্লেখিত দুই ভাই ও বোন আমার পৈত্রিক সম্পত্তির ভাগ না দিয়ে মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে আমাকে হয়রানি শুরু করে। একপর্যায় ২০১৯ সালে আমার শিশু মেয়ে ফাতেমা তুজ জোহরা ও ছেলে বায়জিদকে বাড়িতে রেখে হজ্বব্রত পালনে স্বস্ত্রীক সৌদি আরব যাই। আমরা না থাকার সুযোগে তারা আমার ছেলে ও মেয়েকে মারপিট করেও খুন জখমের হুমকি দেয়। এঘটনায় সদর থানায় জিডি করা হয়। এরপর থেকে আমার ভাই-বোন আমাকে সম্পত্তির ভাগ দিবে না মর্মে হাকিয়ে দেয় এবং অবৈধভাবে জবরদখল করতে থাকে। এনিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েও কোন সমাধান হয়নি। তারা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ভাড়াটিয়া বাহিনী দিয়ে আমার পৈত্রিক সম্পত্তিতে থাকা একটি রাইচ মিলও দখল করে রেখেছে। খন্দকার আব্দুল করিম অভিযোগ করে বলেন, গত ২৫ জানুয়ারি আমার দুই ভাই ও বোন আমাদের রাইচ মিলে ঢুকে আমাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এঘটনায় আমার স্ত্রী বাদি হয়ে থানায় মামলা করলে পুলিশ তাদেরকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে প্রেরণ করে। তারা জামিনে বেরিয়ে এসে মামলা তুলে নিতে আমাকে হুমকি ধামকি দিতে থাকে। তাদের কথা না শোনায় গত ১৫ ফেব্রুয়ারি আমার ভাগ্নে বরিশাল ক্যাডেট কলেজের ছাত্র ক্যাডেট আরিফ হোসেন সাদ, ছোট ভাই সালেহ হোসেন শাওন এবং তাদের মা আরুফা সুলতানা প্রকাশ্যে রাস্তর উপর ফেলে আমাকে বেধড়ক মারপিট করকে থাকে। এসময় টহলরত র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার সদস্য আসলাম হোসেন আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। এঘটনায় উল্টে তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে সংবাদ প্রকাশ করিয়েছে। এছাড়া আমাকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর জন্য আমার সু চতুর বোন আরুফা হাসপতালে ভর্তি হয়। অথচ সে নিয়মিত অফিস করেছে। শুধুমাত্র সম্পত্তির লোভে আমার বোন অন্ধ হয়ে এধরনের চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকি নিজের ছেলে ও স্বামীকে উস্কানি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমাকে মারপিট করায়। তিনি আরো বলেন, আমার বোনের ছেলে উজ্জল ভবিষ্যতের কথঅ ভেবে আমি এতদিন নিরব থাকলেও বর্তমানে তাদের অত্যাচারে আমি অতিষ্ট হয়ে উঠেছি। একই সাথে দুই ভাইয়ের অত্যাচারের ও স্বীকার। আমার স্ত্রী সাবিনা খানম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। তার ক্ষতি করার জন্য মিথ্যে মামলা দিয়ে তাকে হয়রানির চেষ্টা করে। তিনি অর্থলোভি বোন এবং ভাগ্নে ক্যাডেট আরিফ হোসেনসহ উল্লেখিত দুই ভাইয়ের কবল থেকে পৈত্রিক সম্পত্তি উদ্ধার এবং জীবনের নিরাপত্তার দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।