নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের নবগঠিত কমিটির সভাপতি এস এম আশিকুর রহমান তৃণমূল থেকে ওঠে আসা একজন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। যিনি কখনও ধূমপানও করেননি। দেশের প্রথম শ্রেণির একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ সম্পন্ন করার পর দেশসেরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইবিএ থেকে শর্ট কোর্স করেছেন তিনি। বর্তমানে তিনি একটি কলেজে আইনে পড়ছেন। সাতক্ষীরার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র শান্ত-শিষ্ট স্বভাবের আশিক ২০০৭ সালে ওয়ার্ড ছাত্রলীগে যোগদানের মাধ্যমে রাজনৈতিক পথচলা শুরু করেন। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভোমরা ইউনিয়নের পদ্মশাখরা গ্রামের একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে তার জন্ম। দাদা মরহুম আলহাজ¦ আমজাদ হোসেন ছিলেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার। পিতা মিজানুর রহমান বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত আছেন। তার ছোট মামা মাহমুদুল আলম(লাভলু বিশ^াস) দেবহাটা উপজেলার নওয়াপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বাল্যকাল থেকেই মেধাবী ও নেতৃত্বগুণ সম্পন্ন ছিলেন আশিক। সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সাথে এস এস সি পাশ করেন। পরে সাতক্ষীরা সিটি কলেজ থেকে এইচ এস সি পাশ করেন এবং আই ইউ বি থেকে বিবিএ পাশ করেন। বর্তমানে সাতক্ষীরা ল কলেজে লেখাপড়া করছেন।
২০০৭ সালে সাতক্ষীরা পৌর ২নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যোগদানের মাধ্যমে ছাত্ররাজনীতিতে প্রবেশ করেন আশিক। এরপর সাতক্ষীরা পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং সুজন-অয়ন কমিটির নেতৃত্বে সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন।
২০১৮ সাল ছিল সাতক্ষীরায় ছাত্রলীগের রাজনীতিতে একটি কলংকিত অধ্যায়। ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদকসহ কয়েকজন নেতাকর্মীর কারণে ছাত্রলীগের সুনাম নষ্ট হলেও এদীর্ঘ ছাত্ররাজনৈতিক জীবনে আশিকের চরিত্রে কোন ধরনের দাগ লাগেনি। জেলা ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকেও সব সময় অত্যন্ত শান্ত-শিষ্ট ও ভদ্র স্বভাবের একেবারে তৃণমূল থেকে উঠে আসা ছাত্রনেতা তিনি। বিগত ২০১৩ সালে অত্যন্ত খারাপ সময় অতিবাহিত করেছে সাতক্ষীরা। এসময় জামায়াত-বিএনপির নেতাকর্মীরা নাশকতা মূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করে জেলাকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করেছিল। তাদের সকল প্রকার নাশকতা মূলক কর্মকান্ড প্রতিহত করতে রাজ পথে থেকেছেন। সকল বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে কাজ করেছেন নিরবে নিভৃতে।
এছাড়া ২০২০ সালের করোনা মহামারিতে সারা বিশ্ব আতংকিত ও দিশেহারা হয়ে় পড়ে। এই মহামারিতেও ভয়কে জয় করে বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, খাদ্য বিতরণসহ মানুষের পাশে থেকেছেন। নেতাকর্মীদের অসুস্থ্যতায় ছুটে চলেছেন অবিরত। ছাত্রলীগের একাধিক নেতাকর্মীরা বলছেন, সাতক্ষীরা জেলার নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য যে কয়জন পদ প্রত্যাশী ছিলেন তাদের মধ্যে আশিকই সবচেয়ে যোগ্য নেতৃত্বগুণ সম্পন্ন নেতা। এ জেলায় আশিকের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের কমিটি দিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ অত্যন্ত বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন বলে অনেকেই মন্তব্য করেছেন। সাতক্ষীরা ছাত্রলীগের পুরাতন গৌরব ফিরিয়ে় আনতে আশিকের নেতৃত্বাধীন ছাত্রলীগ কর্মীরা কাজ করবেন এমনটায় প্রত্যাশা সকলের।
কারো সাথে উচ্চস্বরে কথা বলেছেন এমনটির প্রমাণও নেই। দলীয় পদে আসীন হওয়ায় একটি মহল তাকে নিয়ে গভীর চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছেন। মিথ্যা দিয়ে সত্যকে আড়াল করা যায় না। ভূয়া বিয়ের কাগজপত্র সৃষ্টি করে আশিককে বিবাহিত দেখানোর চক্রান্ত করছে একটি স্বার্থানেষ্বী মহল। সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের ধারণা এই মহলটি স্বাধীনতাবিরোধী চক্র ও তাদের দোসর যুদ্ধাপরাধীদের কাছ আর্থিক সুবিধা নিয়ে আশিকের মত নীতি ও আদর্শগতভাবে দৃঢ় নৈতিক চরিত্রের ছাত্র নেতার বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করছে। এভাবে কখনোই একজন পরিচ্ছন্ন ব্যক্তির চরিত্র হনন করা যায় না। অচিরেই ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ উন্মোচিত হবে এবং সাতক্ষীরায় ছাত্রলীগের সুনাম ফিরিয়ে আনার সংগ্রামে আশিক অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। আশিকের নেতৃত্বাধীন কমিটির সাথে সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে় বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ঐতিহ্যবাহী সংগঠনের গৌরব ফিরিয়ে় আনবে বলে মনে করেন সাবেক ছাত্রনেতারা।
০১.০৬.২০২১