ফিচার

কাল থেকে সাতক্ষীরায় ৭ দিনের লকডাউন, সঙ্কটে নিম্মআয়ের মানুষ

By Daily Satkhira

June 04, 2021

আসাদুজ্জামান : করোনার উর্দ্ধগতি ঠেকাতে সাতক্ষীরায় শনিবার (৫ জুন) ভোর ৬ টা থেকে সপ্তাহব্যাপী লক ডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়।

এদিকে, লকডাউন ঘোষণার খবরে নিম্ম আয়ের মানুষ গুলো হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। কিভাবে তাদের সংসার চলবে তা নিয়ে তাদের দূশ্চিন্তার অন্ত নেই। তাদের দাবি, করোনা কালীন সময়ে গরীব ও দুস্থ মানুষের সাহায়তায় সরকার যেন তাদের কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেন। এদিকে, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল বলেন, নিম্ম আয়ের মানুষ যাতে কষ্টে না থাকে সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সহায়তার দেয়া হবে। কোন মানুষ না খেয়ে থাকেব না। গরীব ও দুস্থ মানুষের বিষয়টি আমরা ভেবেছি।

জেলা প্রশাস সূত্রে জানা গেছে, শনিবার ভোর ৬ টা থেকে সপ্তাহ ব্যাপী লকডাউন শুরু হবে। লকডাউন চলাকালীস সময়ে সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত কাঁচাবাজারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকানপাট খোলা থাকবে। তবে দূরপাল্লার সকল যাত্রিবাহীবাসসহ মোটরসাইকেল, ভ্যান,বিক্য্রা, নছিমন, করিমনসহ জেলার অভ্যন্তরিন সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে বিশেষ জরুরি পরিসেবা লক ডাউনের আওতার বাইরে থাকবে।

তবে, সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দরে আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম চালু থাকলেও বন্দরে সবধরনের দোকানপাট বন্ধ থাকবে। বন্দর এলাকায় ভারতীয় ট্রাকড্রাইভার, হেলপারসহ সকলকে স্বাস্থ্য বিধি মানতে হবে। না মানলে জরিমানা করা হবে। ব্যাংক বিমা খোলা থাকবে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব কিছুই চলবে। মাস্ক না পরলে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হবে। সীমান্তবর্তী এলাকায় কঠোর নজরদারি করা হচ্ছে যাতে ভারতে অবৈধ ভাবে কেউ যাতায়াত করতে না পারেন।

সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা: হুসাইন সাফায়াত বলেন, বর্তমানে সাতক্ষীরা জেলায় করোনা সংক্রমনের হার ৫৩ ভাগ। দিন দিন পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী সাতক্ষীরা সদর, কালিগঞ্জ ও কলারোয়া উপজেলায় সবচেয়ে বেশি করোনা রোগি সনাক্ত হয়েছে। ঘরে ঘরে মানুষের জ¦র, সর্দি, কাশিসহ করোনা উপসর্গ দেখা দিয়েছে। ফলে জেলা ব্যাপী লকডাউন ঘোষণা ছাড়া এটি নিয়ন্ত্রন করা কোন অবস্থায় সম্ভব নয়।

আগামী ১২ জুন জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির পরবর্তী সভা অনুষ্ঠিত হবে। ওই সভায় করোনা পরিস্থিতি পর্যালচনা করে লকডাউন বাড়বে কিনা সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।