আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরায় দ্বিতীয় দিনের মতো পালিত হচ্ছে লকডাউন। প্রশাসনের তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। মোড়ে মোড়ে চলছে তল্লাশী। শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়ে চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছে। বন্ধ রয়েছে দুরপাল্লার বাসসহ সকল ধরনের গনপরিবহন। তবে কিছু কিছু এলাকায় ব্যটারীচালিত ভ্যান, ইজিবাইক ও মটরসাইকেল চলাচল করেতে দেখা গেছে। ভোমরা স্থলবন্দরেও সীমিত পরিসরে চলছে আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম। বন্দরে আসা ভারতীয় ট্রাক চালক ও হেলপারদের বন্দরে খোলামেলা চলাফেরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
এদিকে, লকডাউনের মধ্যে দোকানপাট খোলা রাখা, স্বাস্থ্যবিধি না মানাসহ বিভিন্ন অপরাধে জেলার বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় সাতক্ষীরার ১০টি মোবাইল কোর্টের অভিযানে ৬৫ টি মামলায় ৪৪ হাজার ৪০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে বলে জানান এনডিসি আজাহার আলী।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. জয়ন্ত সরকার জানিয়েছেন, শুরু থেকে এ পর্যন্ত সাতক্ষীরায় ১ হাজার ৮৩৬ জনের করোনা পজেটিভ পাওয়া গেছে। জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪৮ জন। তবে করোনা উপসর্গ নিয়ে কেবল সাতক্ষীরা মেডিকেলে আজ পর্যন্ত মারা গেছেন ২২৭জন। সাতক্ষীরায় বিভিন্ন হাসপাতালে মোট ৩৩৯ জন করোনা রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৭জন ও সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ২৬জন করোনা পজেটিভ রোগী ভর্তি আছেন। বাকীরা বিভিন্ন বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এছাড়া করোনা উপসর্গ নিয়ে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে প্রায় ৪০০ রোগী ভর্তি রয়েছেন।
বর্তমানে সাতক্ষীরায় করোনা সংক্রমনের হার উর্দ্ধগতি। গত সপ্তাহখানেক যাবত সাতক্ষীরায় করোনা সনাক্তের হার ৫০ শতাংশের ওপরে বৃদ্ধি পায়। বুধ ও বৃহস্পতিবার জেলায় করোনা সংক্রমনের হার ছিল ৫৩ দশমিক ১৯ শতাংশ। তা শনিবারে কিছুটা কমে দাড়ায় ৪৭ দশমিক ১৭ শতাংশে। এমন বাস্তবতায় শনিবার থেকে জেলায় সাত দিনের সর্বাতœক লকডাউন ঘোষনা করেছে জেলা প্রশাসন। এদিকে, সাতক্ষীরা সীমান্ত পথে বৈধ অবৈধ যাতায়াত পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সীমান্ত জুড়ে কঠোর নজরদারী শুরু করেছে বিজিবি।
গত এক সপ্তাহে বিজিবি সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে এক নারী পাচারকারী ও এক ভারতীয় নাগরিকসহ ৩৬ জনকে গ্রেফতার করেছে।