প্রেস বিজ্ঞপ্তি : সাতক্ষীরা সদরের লাবসায় দীর্ঘ ৩০ বছরের দখলীয় সম্পত্তি ভবনের সানসেট ভেঙে জোরপূর্বক ভবন নির্মানের প্রতিকার এবং খুন জখমসহ বিভিন্ন হুমকি ধামকির অভিযোগ উঠেছে। শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করনে সদরের লাবসা গ্রামের মো: আব্দুল্লাহর মেয়ে রাহিমা খাতুন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেনবিগত ২০১৭ লাবসা মৌজায় ২ তলা বাড়িসহ দেড় শতক সম্পত্তি ক্রয় করে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ দখল করে আসছিলাম। গত ২০২০ সালে আমাদের প্রতিবেশী মৃত. নছিরউদ্দীন মোল্ল্যার পুত্র রইছউদ্দিন বিভিন্ন সময়ে আমাদের সম্পত্তির মধ্যে তার সম্পত্তি রয়েছে মর্মে দাবি করতে থাকে। একপর্যায়ে মাপজরিপ করা হলেও তার অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়। সে সময় তাকে আমাদের সম্পত্তি ক্রয়ের জন্য অনুরোধ জানালে তিনি অস্বীকৃত জানান। অথচ উক্ত বাড়িতে থাকা ভাড়াটিয়াদের বিভিন্নভাবে অত্যাচার করতে থাকে। আমরা অতীষ্ট হয়ে অন্যত্র বিক্রয়ের চেষ্টা করলে পরসম্পদ লোভী রইছউদ্দিন ক্রেতাদের বিভিন্নভাবে মিথ্যা তথ্য দিয়ে নিরুৎসাহিত করে। রইছউদ্দিন নিজে সম্পত্তি ক্রয় করতে চান না আবার অন্যদের কাছে বিক্রয়ও করতে গেলে মিথ্যাচার করে হয়রানি করে। আবার এমনভাবে আমাদের অত্যাচার করতে থাকে যাতে আমরা স্বেচ্ছায় উক্ত সম্পত্তি ছেড়ে চলে যায়। তিরি আরো বলেন সম্প্রতি রইছউদ্দিন আমাদের ভবনের একেবাবে গাঁ ঘেষে ভবন নির্মাণ শুরু করে। এবিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করলে থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে তাদের কাজ বন্ধ রাখে। কিন্তু সুচতুর রইছউদ্দিন সাতক্ষীরায় লকডাউন শুরু হওয়ার সাথে সাথে আবারো কাজ শুরু করে। কাজ করতে গিয়ে আমাদের সম্পত্তির মধ্যে কোন সম্পত্তি না থাকলেও গায়ের জোরে আমাদের ভবনের সানসেট ভেঙে দিয়ে আবারো ভবন নির্মান কাজ শুরু করে। লকডাউন থাকার সুযোগ কাজে লাগিয়ে নির্মান কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। আমি স্বামীর বাড়িতে থাকার কারণে আমার মা রোকেয়া খাতুন বাধা দিতে গেলে রইছউদ্দিন এবং তার পুত্র আব্দুর রহমান আমার বৃদ্ধা মাকে মারপিট করতে উদ্যাত হয় এবং অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে। খবর পেয়ে আমি স্বামীকে সাথে নিয়ে বাধা দিতে গেলেও আমাদের কোন বাধা না শুনে উল্টো খুন জখমসহ বিভিন্ন হুমকি দিচ্ছে। এব্যাপরে তিনি রইছউদ্দিন গংয়ের কবল থেকে আমার ক্রয়কৃত সম্পত্তি রক্ষা এবং মিথ্যা হয়রানির হাত থেকে রক্ষা পেতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।