আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরায় দ্বিতীয় দফা সাত দিনের লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে করোনা সংক্রমণের হার সর্বোচ্চ উর্দ্ধগতিতে ঠেকেছে। সর্বশেষ ফলাফলে গত ২৪ ঘন্টায় ৮১ জনের শরীরে নমুনা পরীক্ষায় ৫২ জনের করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। যা পরীক্ষা বিবেচনায় হার ৬৪ দশমিক ১৯ শতাংশ। জেলায় একদিনে এটি করোনা সংক্রমনের সর্বোচ্চ হার। এনিয়ে জেলায় আজ পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছেন দুই হাজার ৩৭৬ জন। এদিকে, করোনার উপসর্গ নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ ও সদর হাসপাতালে আরো চার জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত ব্যক্তিরা হলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ফিংড়ি গ্রামের নজরুল (৭০), একই উপজেলার ভালুকাচাঁদপুর গ্রামের আব্দুর রহিম (৮৫), আশাশুনি উপজেলার শোভনালী গ্রামের মোক্তার (৬৫) ও যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার সাগরদাড়ি গ্রামের ঈসমাইল হোসেন (৪৫)। এনিয়ে ভাইরাসটির উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন অন্ততঃ ২৪৮ জন। আর আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরো ৫২ জন। এদিকে, সকাল থেকে মোড়ে মোড়ে চলছে পুলিশের তল্লাশী। শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়ে চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছে। লকডাউনে খানিকটা ঢিলেঢালা ভাব দেখা গেছে। জরুরি সেবা প্রতিষ্ঠান খোলা রয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে খুলনা ও যশোর থেকে সাতক্ষীরায় প্রবেশের পথ। ভোমরা স্থলবন্দরেও সীমিত পরিসরে চলছে আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম। তবে ভারতীয় চালক ও হেলপাররা যাতে খোলামেলা ঘুরে বেড়াতে না পারেন এবং সীমান্ত দিয়ে কেউ যাতে পারাপার না হতে পারেন সে জন্য পুলিশ ও বিজিবির নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। অপরদিকে, সাতক্ষীরায় পর্যাপ্ত বেড ও ডাক্তার জনবল সংকটে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমসিম খাচ্ছে স্বাস্থ্যবিভাগ। বর্তমানে জেলায় ৬৯৬ জন করোনা পজিটিভ রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে। এরমধ্যে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৬ জন ও সদর হাসপাতালে ২৮ জন ভর্তি রয়েছে। বাকীরা বিভিন্ন বেসরকারী হাসপাতালসহ প্রাতিষ্ঠানিক ও পারিবারিক কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন শাফায়েত জানান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৮ টি আইসোলেশন ও ১৫০ টি বেড ছাড়াও আট বেডের আইসিইউ রয়েছে। এছাড়া সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটে বেড রয়েছে মাত্র ৩৫ টি। আরও বেড ও জনবল না থাকায় চিকিৎসা দিতে হিমসিম খাচ্ছেন ডাক্তাররা।##