বিনোদন সংবাদ : ঢাকাই সিনেমার আলোচিত চিত্রনায়িকা পরী মণি রোববার সন্ধ্যায় ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিচার দাবি করেছিলেন। ঘটনার বিস্তারিত জানাতে রাত সাড়ে ১০টায় তাঁর বনানীর বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন ডাকেন এই অভিনেত্রী।
সেখানে পরীমণি অভিযোগ করেছেন, চারদিন আগে আশুলিয়ার একটি ক্লাবে তাঁর সঙ্গে প্রতিষ্ঠিত এক ব্যবসায়ী ক্লাবকর্তা অশোভন আচারণ করেছেন এবং শারীরিক নির্যাতন করেছেন। এই ঘটনায় তিনি বনানী থানায় মামলা করতে গেলেও কোন সহযোগিতা পাননি।
কেঁদে কেঁদে সেদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে পরী মণি জানিয়েছেন, ১০ জুন পারিবারিক বন্ধু অমি, ব্যক্তিগত রূপসজ্জাশিল্পী জিমি ও এক আত্মীয়কে নিয়ে বের হন পরী মণি। সেখান থেকে অমি কৌশলে তাঁকে আশুলিয়ার একটি ক্লাবে নিয়ে যান। যেখানে মদ্যপানরত এক ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয় তাঁর পরিচয় করানো হয়। ওই ব্যক্তিদেরই একজন হঠাৎ জোর করে তাঁকে মদ্যপান করানোর চেষ্টা করেন। তাতে রাজি না হওয়ায় শারীরিক নির্যাতন করেছেন ওই ব্যক্তি। পরে পরী জেনেছেন তিনি প্রতিষ্ঠিত এক ব্যবসায়ী ক্লাবকর্তা। সে সময় পরীর ব্যক্তিগত রূপসজ্জাশিল্পী জিমিকেও নির্যাতন করা হয়েছে বলে পরীর অভিযোগ।
পরী মণি উপস্থিত সাংবাদিকদের আরও জানিয়েছেন, ওই ঘটনার পর রাজধানীর বনানী থানায় অভিযোগ জানাতে গেলেও তাঁকে সহযোগিতা করা হয়নি। এমনি বাংলাদেশ শিল্পী সমিতিতে অভিযোগ জানিয়েও ফল পাননি বলে অভিযোগ এই চিত্রনায়িকার।
আক্ষেপের সুরে এই অভিনেত্রী অভিযোগ করেছেন, আমি পরী মণির যদি এমন ঘটনায় এই দশা হয় সাধারণ নারীদের কী অবস্থা একবার ভাবুন। এই ঘটনার পর চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানান পরী।
সংবাদ সম্মেলনে নিজের সঙ্গে ঘটা ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে একাধিকবার কান্নায় ভেঙে পড়েন এই চিত্রনায়িকা।
পুলিশের সূত্রটি জানায়, নায়িকা পরীমণি যার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তার নাম নাসির ইউ মাহমুদ। তিনি একজন ব্যবসায়ী ও উত্তরা ক্লাবের সাবেক সভাপতি। বর্তমানে তিনি ঢাকা বোট ক্লাবের পরিচালক (কালচার অ্যান্ড এন্টারটেইনমেন্ট) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে নাসির ইউ মাহমুদের দুটি মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এক পর্যায়ে দুটি নম্বরই বন্ধ পাওয়া যায়।
২০১৫ সালে ‘ভালোবাসা সীমাহীন’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হয় পরী মণির। ঢালিউডে বেশ কিছু জনপ্রিয় সিনেমা রয়েছে তাঁর ঝুলিতে।