নিজস্ব প্রতিনিধি : শ্যামনগরে সাতক্ষীরা জেলা জজ আদালতের মিস আপীল ২১/২১ এ মঙ্গলবার সরকার পক্ষের বিরুদ্ধে ৭ দিনের সো-কজ আদেশ পেয়েই নালিশি জমিতে সরকার পক্ষ দখলের চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে সাতক্ষীরা যুগ্ম জেলা জজ দুই নম্বর আদালতের ১৪/২০২১ নাম্বার দেওয়ানী মোকদ্দমায় নালিশী ভূমিতে স্হিতিবস্হা আদেশ থাকা সত্বেও তা অমান্য করে নালিশী সম্পত্তিতে লাল ফ্লাগ দেয় সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভুমি অফিসার। শ্যামনগর থানার শ্যামনগর মৌজায় এস এ ৫৫৩ নং খারিজ মতে ৫৫৩/১ নং খতিয়ানের ৭৫৫ দাগের ২.৬০ একর ভূমির মধ্যে ৩৩ শতক ভূমিতে মঞ্জুয়ারা পারভীন বাদি হয়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসক সাতক্ষীরা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সাতক্ষীরা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শ্যামনগর সাতক্ষীরা, সহকারী কমিশনার ভূমি শ্যামনগর সাতক্ষীরা, ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা, শ্যামনগর ইউনিয়ন শ্যামনগর সাতক্ষীরা, বিবাদী করে মামলা রুজু করেন।
আদালত নালিশী ভূমিতে ইং ১৮.০১.২০২১ তারিখে স্থিতিবস্থা বজায় রাখার এক অন্তর্বতীকালীন আদেশ প্রাপ্ত হন। স্থিতিবস্থা আদেশ বজায় থাকা সত্বেও তা অমান্য করে শ্যামনগর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোহাম্মাদ আলী ও উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি কার্যালয়ের সার্ভেয়ার মো: শফিকুল ইসলাম সহ কয়েকজন সরোজমিনে উপস্থিত হয়ে ইং ২৮.০২.২১ তারিখে দুপুর দুইটার সময় মামলার বাদী মঞ্জুয়ারা পারভীনের নালিশী উক্ত সম্পত্তিতে স্থিতি অবস্থায় থাকার নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও কোর্টের নির্দেশনা অমান্য করে লাল ফ্লাগ দেয়। তারা বলেন জেলা প্রশাসক সহ উর্ধতন ব্যক্তিদের নির্দেশে তারা লাল ফ্লাগ পুতেছে। আদালতের আদেশ অমান্য করে এহেন কার্য়ক্রমে এলাকায় ব্যাপক হারে সমালোচনা সৃষ্টি হয়। বাদী স্থিতিবস্থার আদেশ অমান্য করার বিষয় আদালতের নজরে আনলে উক্ত জমিতে সরকার পক্ষের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালত নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন।
নিষেধাজ্ঞার আদেশ পেয়েই বাদী মন্জুয়ারার একই তপশিলে বক্রি জমিতে সরকার পক্ষ জবর দখল নিয়ে স্থাপনা তৈরির চেষ্টা করলে বাদী সমুদয় ৪৭ শতক জমিতে সরকার পক্ষের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন। উক্ত নিষেধাজ্ঞার আবেদনের উপর আজ সাতক্ষীরার জেলা জজ আদালত সরকার পক্ষকে ৭ দিনের সো কজ দিলে সংবাদ পেয়ে মঙ্গলবার বিকালে আবারও দখলের চেষ্টা করেছে বলে মামলার বাদী মন্জুয়ারা এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।
বাদীর পুত্র ইয়াসিন আরাফাত মিলন জানান, আমাদের শত বছরের দখলীয় জমি সরকার পক্ষ কোন প্রকার নোটিশ না দিয়ে জবর দখলে নেয়ার চেষ্টা করছে। তিনি আরও বলেন আদালতে কোন আদেশই সরকার পক্ষ মানছেন না। আর লক ডাউনের সময়টাকে পুজি করে আমাদেরকে হয়রানী করা হচ্ছে। ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোহাম্মাদ আলী কাছে জানতে মোবাইলে বার বার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।