দেশের খবর : নিজের এলাকার জনগণের দুর্ভোগ তুলে ধরে ‘আর কোনো দাবি নাই; ত্রাণ চাই না, বাঁধ চাই’ লেখা প্ল্যাকার্ড গলায় ঝুলিয়ে জাতীয় সংসদে বক্তব্য দিয়েছেন পটুয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য এস এম শাহাজাদা।
২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।
বুধবার (১৬ জুন) দুপুরে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বাজেট অধিবেশনে ২০২১-২২ সালের অর্থবিলের ওপর অনুষ্ঠিত বক্তৃতার এক পর্যায়ে প্ল্যাকার্ড পরে উপকূলের মানুষের পক্ষে বাঁধ নির্মাণের আকুতি জানান শাহাজাদা।
এ সময় সম্প্রতি উপকূলে তাণ্ডব চালানো ঘুর্ণিঝড় ‘ইয়াস’-এর প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসের কথা তুলে ধরেন তিনি। তুলে ধরেন নিজের এলাকার মানুষের দুর্ভোগ, সম্পদহানী ও অসহায়ত্বের কথা।
শাহাজাদা বলেন, ‘আমরা কয়েকদিন আগে ইয়াসের দ্বারা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। আপনারা জানেন ইয়াস দক্ষিণাঞ্চলে কী ধরনের তাণ্ডব চালিয়েছে। আমার ওখানে অনেকগুলো চর আছে। যার চার পাশে অনেকগুলো বড় বড় নদী আছে। যার এক একটির ব্যাস কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত। কোনো কোনোটি সাত-আট কিলোমিটার পর্যন্ত। আপনারা আগুনমুখো নদীর কথা শুনেছেন, যা এক ভয়ঙ্কর নদী। এর পাশে চর কাজল, চর বিশ্বাস, চর হাদি, চর বুরহান, চর গুদাম নামের চর আছে। এই চর গুদামে গিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজে গিয়ে বীজ বর্ধন গুদাম উদ্বোধন করেছিল। এই চরগুলোর অনেকগুলোতেই চার পাশে উচুঁ বেড়িবাঁধ নাই।
পটুয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য বলেন, ‘ইয়াসের ফলে সৃষ্ট অতিরিক্ত জোয়ারে সেদিন উপকূলের মানুষ তাদের ফসলের মাঠ হারিয়েছে। তাদের ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। পুকুরে ও ঘেরে তারা মাছ চাষ করেছিল, যা সাগরে ভেসে গেছে।
শাহাজাদা বলেন, ‘আমরা সেখানে গিয়েছিলোম ত্রাণ নিয়ে। প্রধানমন্ত্রী সেখানে জরুরি ত্রাণ বরাদ্দও দিয়েছেন। আপনারা জানেন অন্যান্য অঞ্চলেও মানুষ ত্রাণ নিয়ে রোষানলে পড়েছে। আমরাও জনগণের রোষানলে পড়েছিলাম। সেখানকার মানুষ আমাকে বলেছে, আমরা ‘ত্রাণ চাইনা, বাঁধ চাই; আর কোনো দাবি নাই’। তারা এই দাবি লেখা প্ল্যাকার্ড গলায় ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করেছিল। আমি সেই এলাকারই মানুষ। আমি বিচ্ছিন্ন কেউনা।”
এ কথা বলেই শাহাজাদা তার সামনে থাকা একই দাবি লেখা প্ল্যাকার্ড গলায় ঝুলিয়ে জাতীয় সংসদের কাছে বাধেঁর দাবি তুলে ধরেন।