আসাদুজ্জামান : ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছাসে সাতক্ষীরার আশাশুনির প্রতাপনগরে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ায় সেখানে কবর দেওয়ার মতো উঁচু জায়গা নেই। মৃত মানুষের দাফন করতে হচ্ছে বিকল্পভাবে। পানিবন্দি হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। মানুষের দূর্দশার শেষ নেই। খাওয়া দাওয়া তো দুরের কথা, মরা মানুষের শেষ বিদায় দেওয়ার মতো পরিবেশও নেই ওই এলাকায়। এমন পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার এক যুবকে মৃত্যু হয়। তাকে অভিনব পন্থায় দাফন সম্পন্ন করতে হয়েছে।
জানা গেছে, প্রতাপনগর ইউনিয়নের শহিদুল ইসলাম গাজীর ছেলে মাহমুদুল হাসান (৩৪) বৃহস্পতিবার সকালে তিনি তার কর্মস্থল কলারোয়ায় স্ট্রোকজনিত কারণে মৃত্যু বরন করেন। তার মরদেহ দুপুরে আনা হয় গ্রামের বাড়ি প্রতাপনগরে। কিন্তু প্রতাপনগরসহ তার আশে পাশের এলাকা পানির নিচে ডুবে থাকায় আছরের নামাজের পর বাড়ির সামনের রাস্তায় জানাজা নামাজ শেষে তাকে কবর দেয়া হয় বিকল্পভাবে। জোয়ারের পানি কমে গেলে বাধ্য হয়ে রাস্তার ধারে ইটের তৈরি কবরে সমাহিত করা হয় যুবক মাহমুদুল হাসানকে। ডনহতের চাচা স্থানীয় আল আমিন মহিলা আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাসুম বিল্লাহ গাজী জানান, এলাকায় কবর দেয়ার মতো কোথাও মাটি না থাকায় রাস্তার ধারে ইট দিয়ে চৌবাচ্চা গেঁথে তার মধ্যে তাকে কবর দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে প্রতাপনগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান জানান, সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছাসে বাঁধ ভেঙে পানিতে ভেসে যায় প্রতাপনগরের বিস্তীর্ণ জনপদ। এখনও পর্যন্ত সেখানে লোকালয়ে জোয়ার ভাটা খেলছে। গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে জোয়ারের পানি থৈ থৈ করছে। কেউ মারা গেলে মাটি দেয়ার জায়গাটুকু পর্যন্ত নাই। তাই বাধ্য হয়ে বিকল্পভাবে মৃত ব্যক্তির দাফন করতে হচ্ছে।