সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরায় চতুর্থ দফায় লকডাউন: স্বাস্থ্যবিধি মানছে না মানুষ :হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসন

By daily satkhira

June 25, 2021

আসাদুজ্জামান : সীমান্ত জেলা সাতক্ষীরায় করোনায় সংক্রমনের হার কিছুটা কমলেও মৃত্যুর হার কমেনি। গত ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসটিতে আক্রান্তে ও উপসর্গে জেলায় ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে একজন করোনা আক্রান্ত হয়ে ও ৬ জন উপসর্গ নিয়ে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন। বাকী অন্য একজন উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন একটি বেসরকারী হাসপাতালে। এনিয়ে, জেলায় ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন মোট ৬৪ জন। আর উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরো ৩০৪ জন। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১৫৮ জনের নমুনা পরীক্ষা শেষে ৪৮ জনের করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। যা শনাক্তের হার ৩০ দশমিক ৩৭ শতাংশ। এ নিয়ে জেলায় আজ পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ১৮২ জন। প্রতিদিনই নতুন নতুন রোগী ভর্তি হচ্ছেন সরকারী-বেসরকারী হাসপাতাল গুলোতে।

সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডাঃ হুসাইন শাফায়াত জানান, জেলায় বর্তমানে ৪০৭ জন করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এর মধ্যে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রয়েছেন ৪৪ জন। তিনি এ সময় সকলকে মাস্ক পরার ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহবান জানান।

এদিকে, চলমান লকডাউনের মেয়াদ চতুর্থ দফায় আরো এক সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে। লকডাউন শুরু হয়েছে শুক্রবার রাত ১২ টার পর থেকে। যা চলবে ১ জুলাই বৃহস্পতিার রাত ১২ টা পর্যন্ত। এর আগে গত ৫ জুন শুরু হওয়া লকডাউনের তৃতীয় সপ্তাহ শেষ হয়েছে বৃহস্পতিবার রাত ১২ টায়। জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির কমিটির এক ভার্চুয়াল সভায় বৃহস্পতিবার বিকালে লকডাউন বৃদ্ধির বিষয়টি ঘোষনা দেওয়া হয়। তবে, চলমান লকডাউনের মধ্যেও মানুষ বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন নানা অজুহাতে। স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন বালাই নেই তাদের মাঝে। হাটবাজরেও মানুষের ভিড় লক্ষনীয়। যদিও পুলিশ মোড়ে মোড়ে চেকপোষ্ট বসিয়ে চলাচল নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করছেন। বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন। স্বাস্থ্যবিধি মানাতে হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসন। লকডাউনে জরুরি সেবা প্রতিষ্ঠান খোলা রয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে খুলনা ও যশোর থেকে সাতক্ষীরায় প্রবেশের পথ। ভোমরা স্থলবন্দরেও সীমিত পরিসরে চলছে আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম। তবে ভারতীয় চালক ও হেলপাররা যাতে খোলামেলা ঘুরে বেড়াতে না পারেন এবং সীমান্ত দিয়ে কেউ যাতে পারাপার না হতে পারেন সে জন্য পুলিশ ও বিজিবির নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। লকডাইনের মধ্যে যারা দোকানপাট খোলা রাখছেন এবং স্বাস্থবিধি মানছেননা তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে জেল জরিমানা করা হচ্ছে। সাতক্ষীরার নবাগত জেলা প্রশাসক মোঃ হুমায়ুন কবির জানান, করোনা সংক্রমনের হার না কমা পর্যন্ত লকডাউন থাকতে পারে।##