অনলাইন ডেস্ক : আগামী তিনদিনে তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার, ব্রহ্মপুত্র, মেঘনা এবং পার্বত্য অঞ্চলের প্রধান নদ ও নদীগুলোর পানি সমতল দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে কিছু স্থানে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর ও ভারত আবহাওয়া অধিদপ্তরের গাণিতিক মডেলের তথ্য অনুযায়ী, এই সময়ে দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল এবং এর কাছাকাছি ভারতের হিমালয় পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম, আসাম, মেঘালয় ও ত্রিপুরা প্রদেশে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস আছে।
ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আপার মেঘনা অববাহিকা এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় পার্বত্য অববাহিকার প্রধান সব নদ ও নদীর পানি সমতল সময় বিশেষে দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে কিছু স্থানে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি সমতল স্থিতিশীল আছে, অপরদিকে যমুনা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। উভয় নদ ও নদীর পানি সমতল আগামী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।
অন্যদিকে, গঙ্গা নদীর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। অপরদিকে পদ্মা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
সুরমা ছাড়া দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আপার মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদ ও নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে যা আগামী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
গত ২৪ ঘণ্টায় উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাত হয়েছে নরসিংদীতে ১৪১ মিলিমিটার, খুলনায় ১২৫ মিলিমিটার, ভৈরববাজারে ১১ মিলিমিটার, কক্সবাজারে ১১০ মিলিমিটার, পঞ্চগড়ে ৯৫ মিলিমিটার, বরিশালে ৯৫ মিলিমিটার, চাঁদপুরে ৭৮ মিলিমিটার, নোয়াখালীতে ৭৭ মিলিমিটার, পাবনায় ৭৩ মিলিমিটার, নওগাঁয় ৬৮ মিলিমিটার, কুষ্টিয়ায় ৬৩ মিলিমিটার এবং ঠাকুরগাঁওয়ে ৬১ মিলিমিটার।
দেশের ১০১টি পর্যবেক্ষণাধীন পানি সমতল স্টেশনগুলোর ১০১টির মধ্যে বৃদ্ধি পেয়েছে ৬৩টির, হ্রাস পেয়েছে ৩৭টির এবং ডাটা সংগ্রহ শুরু হয়নি একটির।