খেলা

রোমাঞ্চকর টাইব্রেকারে উরুগুয়ের বিদায়, সেমিতে কলম্বিয়া

By Daily Satkhira

July 04, 2021

খেলার খবর : কোপা আমেরিকার প্রতিটি ম্যাচই এখন মহাযুদ্ধ। কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলছে না। এমনটা দেখা গেল উরুগুয়ে ও কলাম্বিয়ার ম্যাচে।

লড়াই হলো সেয়ানে-সেয়ানে। বল দখলের লড়াইয়ে সমানে-সমান। আক্রমণেও প্রায় তাই। ফলে ম্যাচ গড়াল গিয়ে রোমাঞ্চকর টাইব্রেকারে। আর টাইব্রেকার ভাগ্যের পাল্লা ভারী হলো কলাম্বিয়ার দিকে।

ব্রাসিলিয়ার মানে গারিঞ্চা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রোববার ভোরে শেষ চারে ওঠার লড়াইয়ে মুখোমুখি হয়েছে কলাম্বিয়া ও উরুগুয়ে। যেখানে টাইব্রেকারে উরুগুয়েকে ৪-২ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালের তৃতীয় টিকিট জিতে নিয়েছে কলম্বিয়া।

টাইব্রেকারে মহানায়কে পরিণত কলম্বিয়ার গোলরক্ষক ডেভিড ওসপিনা। উরুগুয়ের দুইটি শট রুখে দিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে কলম্বিয়ার চারটি শটের একটিও থামাতে পারেননি উরুগুয়ের গোলরক্ষক।

প্রথমে শট নিয়ে স্কোরে নাম লেখান কলম্বিয়ার ডুভান জাপাতা। বিপরীতে নিজেদের প্রথম শটে গোল করেন উরুগুয়ের তারকা ফরোয়ার্ড এডিনসন কাভানিও। দ্বিতীয় শটেও জালে বল জড়ান কলম্বিয়ার ডেভিনসন সানচেজ। কিন্তু উরুগুয়ের হোসে মারিয়া গিমিনেজের শট ডান পা দিয়ে ঠেকিয়ে দেন ওসপিনা। ২-১ এ এগিয়ে যায় কলম্বিয়া।

তৃতীয় শটে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন কলম্বিয়ার ইয়েরি মিনা। উরুগুয়ের পক্ষে সফল হন লুইস সুয়ারেজ। স্কোর হয় ৩-২। কলম্বিয়ার হয়ে টানা চতুর্থ শটে গোল করেন মিগুয়েল বোরহা। এরপর মাতিয়াস ভিনার শট ঠেকিয়ে দেন ওসপিনা। স্কোর হয় ৪-২। ফলে পঞ্চম শটের প্রয়োজন পড়েনি। কলম্বিয়ার সেমির টিকিট নিশ্চিত করে উল্লাসে ভাসেন ডেভিড ওসপিনা।

ম্যাচে নির্ধারিত ৯০ মিনিটে গোলের উদ্দেশ্যে ৭টি শট নেয় উরুগুয়ে। যার তিনটি ছিল লক্ষ্য বরাবর। কিন্তু একটিতেও মেলেনি গোল। অন্যদিকে ৯টি শট নিয়েছে কলম্বিয়া। এরমধ্যে তিনটি চিল লক্ষ্য বরাবর। কিন্তু গোলমুখ খুলতে পারেননি তারা।

১২তম মিনিটে চমৎকার হেড দিয়েছিলেন ক্রসবারের উইরিয়াম তেসিয়োর, যা গোলবারের একটু ওপর দিয়ে যায়। ৩৩তম মিনিটে ডি-বক্সের মধ্যে থেকে শট নেন উরুগুয়ের মিডফিল্ডার আরাসকায়েতা। সেটাও লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।

৬০তম মিনিটে ভালো পজিশনে বল পেয়ে প্রতিপক্ষের পায়ে মেরে হতাশ করেন লুইস সুয়ারেস। ৭৩তম মিনিটে কলম্বিয়ার স্ট্রাইকার দুভান জাপাতার জোরালো হেড কোনোমতে পা দিয়ে ঠেকান ফের্নান্দো মুসলেরা।

এভাবেই একের পর এক আক্রমণ ব্যর্থ হয়ে গোলশূন্য অবস্থায় শেষ হয় ৯০ মিনিটের খেলা।