জাতীয়

আশ্রয়ণ প্রকল্পে অনিয়ম : ৫ কর্মকর্তা ওএসডি ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

By Daily Satkhira

July 06, 2021

অনলাইন ডেস্ক : বিনামূল্যে ঘর দেয়ার প্রকল্পে অনিয়মের কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার। ৩৬ উপজেলার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি। ওএসডি করা হয়েছে পাঁচজনকে, দুইজনের নামে সংশ্লিষ্ট বিভাগ এবং একজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে-দুদক।

মুজিব বর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীনদের ২ শতাংশ জমি এবং আধাপাকা ঘর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এমন ঘর পেয়েছেন এক লক্ষ তেইশ হাজার পরিবার। মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার, আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে গৃহহীন মানুষদেরকে গৃহ উপহার দিয়ে পুনর্বাসিত করা। আশ্রয়ণ প্রকল্প নিয়ে শুরু থেকেই নানা অনিয়মের অভিযোগের পর তদন্ত করা হয়, যা চলমান।

বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার ঘরগুলো করা হয়েছে নিচু জায়গায়। ফলে বর্ষার পানিতে তৈরি হয়েছে জলাবদ্ধতা। শেরপুর উপজেলায় খালের পাড়ে ঘর করায় সেগুলো ধসে পড়েছে। একই অবস্থা মুন্সীগঞ্জ সদরে নির্মাণ করা ঘরগুলোরও। হবিগঞ্জের মাধবপুরে ঘরের টাকা আত্মসাৎ, সিরাজগঞ্জের কাজিপুর, বরগুনার আমতলী ও সুনামগঞ্জের শাল্লায় নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ঘর তৈরি করে সেগুলো বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।

এসব ঘর নির্মাণের তদারকির দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে সরকার। এরমধ্যে পাঁচজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ওএসডি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। সিরাজগঞ্জ বরগুনার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে করা হয়েছে বিভাগীয় মামলা। আরেক জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা হয়েছে।

ওএসডি হওয়া কর্মকর্তারা হলেন মুন্সীগঞ্জ সদরের সহকারি কমিশনার শেখ মেজবাহ-উল-সাবেরিন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুবায়েত হাসান শিপলু, চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. লিয়াকত আলী সেখ, উপসচিব মো. শফিকুল ইসলাম, বরগুনার আমতলী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান।

এরই মধ্যে নিম্নমানের কাজ ও ঘর বরাদ্দে অনিয়মসহ আরও নানা অভিযোগ অভিযোগ উঠেছে ২২টি জেলার ৩৬ উপজেলার বিরুদ্ধে। ছাড় পাচ্ছেন না উপজেলা পর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটিতে থাকা অন্যান্য কর্মকর্তারাও। অনিয়মে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ প্রমাণ মিললে, তাদের বিরুদ্ধেও নেয়া হবে ব্যবস্থা।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ও প্রকল্প পরিচালক ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, প্মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেটাকে একেবারে এবাদত হিসেবে নিয়েছেন সেটাতে যখন আমরা ব্যর্থ হই তখন সেটি আমাদের ব্যর্থতা। সেজন্য আমরা বলেছি যে, আমরা এখানে জিরো টলারেন্স, শৈথিল্য দেখানোর কোনো সুযোগ নেই। পৃথিবীর সৃষ্টিলগ্নে যেমন শয়তান আমাদেরকে গন্ধম ফল খাইয়ে দিয়েছিলো, তো শয়তানের উপস্থিতি তো সব জায়গাতে আছে। এখান থেকে বের হয়ে আসতে হবে আমরা সেটা চেষ্টা করে যাচ্ছি।

প্রকল্প পরিচালক মো. মাহবুব হোসেন বলছেন, অনিয়মের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত সুবিধাভোগীদের দেয়া হবে নতুন ঘর।

সংশ্লিষ্ট উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, ইউএনও, এসিল্যান্ড, উপজেলা প্রকৌশলী এবং ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।