কালিগঞ্জ প্রতিনিধি : সারা দেশের ন্যায় কালিগঞ্জে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারের জারি করা লকডাউন বাস্তবায়নে প্রশাসন হাপিয়ে উঠেছে। কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে লকডাউনে সরকারের বিধি-নিষেধ অমান্য করে রাতের আঁধারে মথুরেশপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান গাইন শতাধিক লোক জড়ো করে পিকনিকের আয়োজন করেছেন।
সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ইউনিয়নের সিমান্তবর্তী হাড়দ্দাহ মোড়ে জনসমাগম করে পিকনিকের আয়োজন করে। পিকনিকের বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে সমালোচনার ঝড় বইছে। দেশবাসী এটাকে ভালো চোখে দেখছেন না। এজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট ইউপি চেয়ারম্যানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মহামারী করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় সংক্রমণ রোধে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে সোমবার রাতে জনসমাগম করে পিকনিকের আয়োজন করে উপজেলার মথুরেশপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান গাইন। যেখানে হাড়দ্দাহ, বসন্তপুর, গনপতি এলাকার শতাধিক মানুষ গা ঘেঁষাঘেঁষি করে বসেই পিকনিকের আনন্দে মেতে উঠেছিল। সেখানে ছিল খিঁচুড়ি ভাতের আয়োজন। এতে ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান শেখ আলাউদ্দীন সেহেল, বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাকর্মীসহ শতাধিক ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। এসময় পিকনিকের কয়েকটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন এমডি সজিব হোসেন সাহেব নামের এক যুবক। এতে দেখা যায় ইউপি চেয়ারম্যান ও প্যানেল চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে সবাই একত্রিত হয়ে খাবার খাচ্ছেন। এসব ছবি পোস্ট করার সঙ্গে সঙ্গে তা হুড়মুড়িয়ে ভাইরাল হতে শুরু করে।
পরে এসব ছবিসহ পোস্টটি তিনি ডিলেট করেন। এদিকে করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতিতে লোক সমাগম করে চেয়ারম্যানের পিকনিক কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছেন না এলাকার সচেতন মহল। নাম প্রকাশ না করা শর্তে স্থানীয় কয়েকজন ব্যাক্তি বলেন, লকডাউনে সরকারি নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গলি দেখিয়ে সবাইকে ঘরে থাকতে বলে ইউপি চেয়ারম্যান নিজেই পিকনিকের আয়োজন করেছে এটা মহা অন্যাই। সেখানে রিং বাঁধের কাজ করা সেচ্ছাসেবকদের পাশাপাশি গ্রামের শতাধিক লোক নিয়ে পিকনিকের আয়োজন করা হয়। চেয়ারম্যান নিজেই ব্যাক্তিগত ভাবে এই পিকনিকের সকল বন্দোবস্ত করেন। করোনা পরিস্থিতিতে জনসমাগম করা সম্পূর্ণ অন্যাই। এ বিষয়ে মথুরেশপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান গাইনের ব্যবহ্নত মোবাইল ফোনে একাধিক বার ফোন দিলে ও মোবাইল বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। করোনা কালিন পিকনিকের বিষয়টি সম্পর্কে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার রবিউল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পিকনিকের বিষয়টি আমি শুনেছি। উর্দ্ধতন কতৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।