ফিচার

সাতক্ষীরায় করোনা উপসর্গে আরও ৮ মৃত্যু

By Daily Satkhira

July 09, 2021

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার উপসর্গ নিয়ে তিন নারীসহ ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজ (সামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিভিন্ন সময়ে তাদের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে জেলায় ৮ জুলাই পর্যন্ত করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ৪০৪ জন। পাশাপাশি করোনায় মারা গেছেন ৭৬ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত ব্যক্তিরা হলেন সাতক্ষীরা পৌরসভা ইটাগাছা এলাকার তৈয়ব আলী ফকিরের ছেলে আমিরুল ইসলাম (৬২), সাতক্ষীরা সদরের সাতিয়ানতলার ইদ্রিস আলির স্ত্রী মাহফুজা (৫০), সদরের ঝাউডাঙ্গার পাথরঘাটা এলাকার কলিমউদ্দিনের ছেলে সুরত আলী(৮০), কলারোয়ার হামিদপুর এলাকার নগর আমীর ছেলে নাসিম উদ্দিন (৪০), কালিগঞ্জের মৌতলার মৃত আব্দুল হাইয়ের ছেলে আব্দুল খালেক (৯০), আশাশুনির শোভনালীর বাটরা এলাকার মৃত ছবেদ গাজীর ছেলে মোকছেদ গাজী(৬৯), কলারোয়ার বড়ালী গ্রামের মোশারফ হোসেনের স্ত্রী রাবেয়া বেগম (৬৮) ও মামুন শেখের স্ত্রী তাহমিনা (৩৫)।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ করোনার নানা উপসর্গ নিয়ে গত ২৪ জুন থেকে ৮ জুলাইয়ের মধ্যে সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি হন এসব ব্যক্তি। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।

এদিকে সাতক্ষীরায় করোনা সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সামেক হাসপাতালের পিসিআর ল্যাব ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪৮৮টি নমুনা পরীক্ষায় ১৩৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ২৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ।

আগের দিন শনাক্তের হার ছিল ২২ দশমিক ৫১ শতাংশ।

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মেডিক্যাল কর্মকর্তা ও জেলা করোনা বিষয়ক তথ্য কর্মকর্তা ডা. জয়ন্ত কুমার সরকার বলেন, এ পর্যন্ত সাতক্ষীরায় করোনা রোগীর সংখ্যা চার হাজার ১৭৩ জন। জেলায় সুস্থ হয়েছেন দুই হাজার ৯৬৫ জন। বর্তমানে করোনা রোগী রয়েছেন এক হাজার ১৩৫ জন। হাসপাতালে ভর্তি করোনা রোগীর সংখ্যা ৪৩ জন। এদের মধ্যে সামেক হাসপাতালে ২৪ জন ও বেসরকারি হাসপাতালে ১৯ জন ভর্তি আছেন। হোম আইসোলেশনে আছেন এক হাজার ৯২ জন। উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৩৭৯ জন। এর মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি ২৪১ জন এবং বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ১৩৮ জন। সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৪২২ জন। করোনায় এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৭৬ জন। উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ৪০৪ জন।