প্রেস বিজ্ঞপ্তি : সাতক্ষীরার বুধহাটায় ইউপি সদস্যের ভাই ওয়াইচ আহম্মেদ কর্তৃক স্ত্রীর কাছ থেকে ফুসলিয়ে হাতিয়ে নেওয়া ৮লক্ষ টাকা উদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন প্রতারণার শিকার এক অসহায় নারী। রোববার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে আশশুনি উপজেলার বেইলা গ্রামের মোঃ জয়নাল সানার মেয়ে মোছাঃ রহিমা খাতুন এই দাবি জানান।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি একটি বেসরকারি এনজিওতে চাকুরি করি। বিগত ২০১৮ বছর পূর্বে একই এলাকার মৃত ইসহাক আলী সরদারের ছেলে ওয়াইচ আহম্মেদের সাথে বিবাহ হয়। ওয়াইচ আহম্মেদ বুধহাটা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শীস মোহাম্মদ জেরির ভাই। আমাদের বসবাসের কোন জায়গা না থাকায় বেসরকারি এনজিওতে চাকুরি করে বসতী জমি ক্রয়ের জন্য টাকা জমাতে থাকি। একপর্যায়ে আমার স্বামী আমাকে বলে টাকাগুলো আমাকে দাও আমার বেউলা সাকিনস্থ তার নিজম্ব মাঠ পাড়া ভিটা জমি হতে ১০ কাটা জমি তোমাদের লিখো দেবো। উক্ত জমি ক্রয়ের জন্য আমি এবং আমার বোন ফাতেমা খাতুন ২০২০ সালের ২৪ মার্চ আমার স্বামীর কাছে অগ্রিম ৭লক্ষ টাকা প্রদান করি। সে সময় প্রমান স্বরুপ ১৫০ টাকার জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প ও ওয়াইচ আহম্মেদ রূপালি ব্যাংক বুধহাটা বাজার শাখার স্বাক্ষরিত একটি চেক প্রদান করে। যার একাউন্ট নং ১৫৩৮৮। এছাড়া গত ১৬ জুন আরো ১লক্ষ টাকা গ্রহণ করে। কিন্তু টাকা গ্রহণের পর ওয়াইছ আহম্মেদ জমি লিখে না দিয়ে তালবাহানা করতে থাকে। বর্তমানে ওয়াইচ তার ভাই ইউপি মেম্বর শীস মোহাম্মদ জেরির প্রভাব খাটিয়ে উক্ত ৮লক্ষ টাকা বা জমি না দিয়ে আত্মসাথের পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে ওয়াইচ আমার সাথে আর যোগাযোগ না করে আত্মগোপনে আছে।
রহিমা খাতুন আরো বলেন, সম্প্রতি আমি খবর নিয়ে জানতে পেরেছি ওয়াইচ আহমেদ একাধিক বিবাহের হোতা। বিভিন্ন নারীদের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করে তাদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে প্রতারণা করে। আমি অসহায় পরিবারের সন্তান। পিতা-মাতার মুখে হাসি ফোটাতে চাকুরি শুরু করি। একজন অসহায় নারী। আমার অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে প্রতারক ওয়াইচ আহম্মেদ কৌশলে আমাকে বিয়ে করে আমার কষ্টার্জিত সমদূয় অর্থ হাতিয়ে নিয়ে আত্মসাথ করেছে। তিনি ওই পরসম্পদ লোভী একাধিক বিয়ের হোতা ওয়াইচ আহম্মেদের কাছ থেকে তার পাওনা ৮লক্ষ টাকা উদ্ধারের দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।