প্রেস বিজ্ঞপ্তি : সাতক্ষীরায় নাতনীর ষড়যন্ত্র ও মিথ্যা মামলার হাত থেকে সন্তানদের অব্যাহতি চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে বৃদ্ধা মাতা। শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোত্তালেব মিলনায়তনে এ দাবি জানান পুরাতন সাতক্ষীরা মাদ্রাসাপাড়া এলাকার মৃত শামসুর রহমানের স্ত্রী ছফুরা খাতুন। লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, আমি ১০ সন্তানের জননী। আমার ৪নং কন্যা তহমিনা খাতুনের স্বামী গোলাম সরোয়ার ১ কন্যা ও ১ পুত্র সন্তান রেখে মারা গেলে কন্যা আমাদের বাড়িতে অর্থ্যাৎ পিতার বাড়িতে আশ্রয় গ্রহণ করে বসবাস করতে থাকে। আমাদের বাড়িতে বসবাসের তহমিনার সন্তানদের সাথে মামা-মামীদের সাথে তুচ্ছ ঘটনায় বিভিন্ন সময় বিরোধ হয় মিটেও যায়। কিন্তু গত ০৪/০৭/২০২১ তারিখে জ¦ালানি কাঠ নিয়ে আমার পুত্র আমিরুল ইসলামে সাথে।
এসময় পুত্র আমিরুল ও কন্যা তহমিনার সাথে হাতা হাতি হয়। হাতাহাতির একপর্যায়ে ঘরের চালের খোলা (টালি) লেগে আমার কন্যা তহমিনার মাথা সামান্য কেটে যায়। সে সময় আমার পুত্র আসাদুল ইসলাম, আমিরুল ইসলামের তার স্ত্রী শাপলা, আসাদুল ইসলামের স্ত্রী মনজুয়ারা, তার পুত্র ইব্রাহিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলো না এবং তহমিনার কন্যা সুরাইয়া পারভীন শীলাও ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলোনা। যার প্রত্যক্ষদর্শী আমি। হাতাহাতির বিষয়টিকে পুজি করে আমার তহমিনার কন্যা সুরাইয়া পারভীন শীলা তার মামা-মামীদের শায়েস্তা করতে তার মাতা তহমিনাকে হাসপাতালে ভর্তি করায়।
পরে একটি মিথ্যা নাটক সাজিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত না থাকলেও আমার অন্যপুত্র, পোতা এবং তাদের স্ত্রীদের আসামী করে থানায় মিথ্যা মামলা দায়ের করে। উক্ত মামলায় পুলিশ পোতা ইব্রাহিমকে আটক করে কারাগারে প্রেরণ করে। অথচ সে এঘটনার কিছুই জানে না। আমার নাতনী সুরাইয়া পারভীন শীলা কুটকৌশলী এবং হিং¯্র প্রকৃতির। তারা পিতা হারা হয়ে আমাদের বাড়িতে খেয়ে পরে বড় হলেও সব সময় তারা মামা-মামীদের হয়রানির চক্রান্ত করতে থাকে। প্রকৃতপক্ষে আমার পুত্ররা এবং স্ত্রী-সন্তানরাও শান্তি প্রিয়। ওই নাতনী সুরাইয়া পারভীন শীলার চক্রান্তে আজ দিশে হারা হয়ে উঠেছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত না থেকেও আমার পোতা, সন্তান এবং পুত্র বধুরা মামলার আসামী হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এরপরও প্রকাশ্যে হুমকি প্রদর্শন করে বলছে ১লক্ষ টাকা দিতে হবে। তা না হলে মামাদের ভিটেবাড়ি ছাড়া করবো। মর্মে হুমকি প্রদর্শন করে যাচ্ছে। এঘটনায় বৃদ্ধা ছফুরা খাতুন ওই নাতনীর মিথ্যাচার এবং ষড়যন্ত্রের কবল থেকে এবং ওই মিথ্যা মামলার দায় হতে অব্যাহতি চেয়ে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।