পাইকগাছা ব্যুরো : পাইকগাছায় বছরের পর বছর ধরে প্রভাবশালী চিংড়ি ঘের মালিকদের বিরুদ্ধে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে সরকারি রাস্তা কেটে এক ইউনিয়ন থেকে অন্য ইউনিয়নে চিংড়ি ঘেরে পানি বিক্রির অভিযোগ, সংস্কার প্রকল্পে বাঁধা সৃষ্টি, জনপ্রতিনিধিদের মামলায় জড়ানোর হুমকি দিয়ে উল্টো গ্যাড়াকলে পড়েছেন ঘের মালিকরা। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এ পরিস্থিতির জন্য ঘের মালিকদের দায়ী করেছেন। উপজেলার লস্কর ইউপির লক্ষ্মীখোলা এলাকায় সরেজমিনে গেলে শত শত ভূক্তভোগী নারী-পুরুষ জানিয়েছেন, একদিকে দেখভালের অভাব, অন্যদিকে ঘের মালিকদের কারণে পাইকগাছা-কয়রা প্রধান সড়ক থেকে লক্ষ্মীখোলা, হেতালবুনিয়া, কেওড়াতলা গ্রামের জনসাধারণের চলাচলের জন্য সরকারী রাস্তাটি বিলুপ্তি হতে চলেছে। স্থানীয় ঘের মালিক ও ৩নং ওয়ার্ড সদস্য তাজউদ্দীন আহম্মদ, ২নং ওয়ার্ড সদস্য হাসানুজ্জামান একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করেছেন, স্থানীয় টুটুল কাগজী, ইকবাল কাগজী, বাক্কার সহ কয়েক ঘের মালিক সরকারী রাস্তা কেটে ক্যানেল বানিয়ে বছরের পর বছর ধরে অর্থের বিনিময়ে লস্কর ইউপি থেকে চাঁদখালী ইউপির চিংড়ি ঘেরে পানি বিক্রি করে আসছেন। তারা আরো জানিয়েছেন, জনদূর্ভোগ লাঘবে এ রাস্তায় প্রথম পর্যায়ে ৪ লাখ ১৬ হাজার ও দ্বিতীয় কর্মসৃজন প্রকল্পের আওতায় ৪ লাখ ৪ হাজার টাকা ব্যয়ে বেহাল দশা রাস্তার কাজ শুরু হলে ঘের মালিকরা বাঁধার সৃষ্টি করে মামলায় জড়ানোর হুমকি দিচ্ছেন। ইউপি চেয়ারম্যান কে,এম, আরিফুজ্জামান তুহিন জনসাধারণের দাবী ও দূর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোঃ আব্দুল মালেক ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সময় তার নির্দেশনায় পর পর ২টি প্রকল্পে প্রায় ১০ লাখ টাকার সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে এবং কাটা রাস্তা বেঁধে দিলে ঐ ঘের মালিকরা তাদের বিরুদ্ধে নানা ধরণের অপপ্রচার ছড়াচ্ছে। এ দিকে ঘের মালিক টুটুল কাগজী, খালেক সরদার সহ কয়েকজন পানি সমস্যা সমাধানের জন্য বুধবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দ্বারস্থ হলে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফকরুল হাসানের নির্দেশে প্রকল্প বাস্তবায়ন দপ্তরের উপ-প্রকৌশলী এম.ডি সাইফুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে এ পরিস্থিতির জন্য ঘের মালিকদের অনিয়মকে দায়ী করেছেন।