নিজস্ব প্রতিবেদক : ২২ বছরের টগবগে যুবক মো. হুসাইন। গ্রামের আর দশটা ছেলের মতো চাকরির পেছনে না ছুটে লেখাপড়ার পাশাপাশি শুরু করেছেন শখের খামার। আসন্ন ঈদুল আযহায় তার খামারের প্রথম ও একমাত্র গরু ‘সাতক্ষীরা এক্সপ্রেস’কে বিক্রি খামার বড় করতে চান তিনি।
মো. হুসাইন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের যোগরাজপুর গ্রামের হাফেজ মো. আবদুল জব্বারের ছেলে। ছোট থেকে বাবা-মাকে গরু লালন-পালন করা দেখে হুসাইনের আগ্রহ জন্মে গরুর খামার করার। সে ইচ্ছে থেকেই পড়ালেখার পাশাপাশি ২০১৯ সালে বাড়ির একটি ছোট্ট গরুর বাছুর নিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে শুরু করেন শখের খামার। তার খামারের সেই ছোট্ট গরুর বাছুরটি ২৪ মাসের পরম যতœ আর ভালোবাসায় ১৫ মণ ওজনের ‘সাতক্ষীরা এক্সপ্রেস’-এ রূপ নিয়েছে। আসন্ন ঈদুল আযহায় এই ‘সাতক্ষীরা এক্সপ্রেস’কে সাড়ে তিন লক্ষ টাকায় বিক্রি করতে চান তরুন এই খামারী।
মো. হুসাইন ক্রিকেটার মুস্তাফিজুর রহমানের ভক্ত হওয়ায় তার উপাধি ‘সাতক্ষীরা এক্সপ্রেস’-এর সাথে মিল রেখে খামারের প্রথম গরুটির নাম রেখেছেন। সম্পূর্ণ দেশীয় উপায়ে পরিচ্ছন্ন পরিবেশে বিচালী, কাচা ঘাস, গমের ভ‚সি, ভুট্টার গুড়া ও ধানের কুড়া খাইয়ে বড় করেছেন গরুটিকে।
ফ্রিজিয়ান জাতের ‘সাতক্ষীরা এক্সপ্রেস’ এর দৈর্ঘ্য ৭৭ইঞ্চি আর বুকের বেড় ৯২ইঞ্চি। এখন দৈনিক ৫শতাধিক টাকার খাবার খায় সে।
খামারী মো. হুসাইন বলেন, দীর্ঘ ২৪মাস পরিবারের সদস্যের মতোই পরম মমতা আর ভালোবাসায় ‘সাতক্ষীরা এক্সপ্রেস’কে বড় করেছি। ওকে ঘিরে আমার অনেক স্বপ্ন। এই ঈদে সাড়ে তিন লক্ষ টাকায় ওকে বিক্রি করে খামার বড় করতে চাই।
তিনি আরও বলেন, যদিও ঈদের আর বেশি দিন বাকি নেই তবুও আমার বিশ^াস শেষ মূহুর্তে হলেও ‘সাতক্ষীরা এক্সপ্রেস’ ন্যয্যমূল্যে বিক্রি হবে। ‘সাতক্ষীরা এক্সপ্রেস’কে যারা কিনবে তারা যদি চান তো ঈদের দিন সকাল পর্যন্ত ‘সাতক্ষীরা এক্সপ্রেস’কে বিনামূলে খাওয়াবো আমরা।
স্থানীয় এলাকাবাসী মো. জালাল হোসেন বলেন, আমি ছোট থেকেই গরুটি দেখছি। খুব ভালোবেসে লালন করেছে হুসাইন। ওকে খারাপ কোন খাবার দেওয়া হয়নি। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে বড় করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার জয়দেব কুমার সিংহ বলেন, এবছর বড় গরু বিক্রির তুলনামূলক কম। তারপরও আমরা ওই গরুটি বিক্রির জন্য আমাদের সরকারি অনলাইন প্লাটফর্মের মাধ্যমে সহযোগীতা করবো।