সাতক্ষীরা

ঢাকায় সাদিকের আলোচিত বান্ধবী শীমুর আত্মহত্যা : সাদিককে খুঁজছে পুলিশ

By daily satkhira

July 19, 2021

নিজস্ব প্রতিনিধি : ছিনতাই ও পর্নোগ্রাফি আইনের দুটি মামলায় সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমানের বান্ধবী সুমাইয়া শিশু আত্মহত্যা করেছে।

গত শনিবার ১৭ জুলাই ঢাকার উত্তরা দক্ষিণ খান থানার একটি ভাড়া বাসায় আত্মহত্যা করে শীমু। এরপর থেকে সাদিককে খুজে বেড়াচ্ছে উত্তরা দক্ষিণ খান থানা পুলিশ। রবিবার রাত ১১ টার পর শীমুর মামাকে পুলিশ খবর দেয়। জানাগেছে আসিফ জামান শীমুর স্বামী পরচিয়ে বাসা ঠিক করে দেয়। ২ রুমের বাসার একটি রুমে শীমু, আরেকটিতে সাদিকের দুই খালাতো ভাই থাকত। সাদিক নিয়মিত যেত শীমুর রুমে মৃত্যুর আগে ফোনে ও মেসেঞ্জারে আসিফের সাথে শনিবার বিকেল ৪ টার দিকে কথা বলে শীমু। লাশের ময়না তদন্ত শেষে এখনও সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে রাখা আছে। ।

এঘটনায় শীমুর মামা মো. মোখলেছুর রহমান চঞ্চল বাদী হয়ে আত্মহত্যার প্ররোচনায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং- ২৮, তাং ১৮/০৭/২১। মামলা ১ নম্বর আসামি আসিফ জামান ও দুই নাম্বার আসামি সাদিকুর রহমান সাদিক।

দক্ষিণ খান থানার ওসি শিকদার মো: শামীম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আসিফ জামান সাতক্ষীরার একজন সিনিয়র আইনজীবীর পুত্র। তার বাড়ি সাতক্ষীরা ফুড অফিস এলাকায়।

উত্তরা দক্ষিণ খান থানার পুলিশ সাদিককে খুঁজছে।

বিষয়টি ডেইলি সাতক্ষীরাকে ফোনে জানিয়েছেন শীমুর মামা ও মামলার বাদি মোখলেছুর রহমান চঞ্চল।

উল্লেখ্য, গত ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর কালীগঞ্জের পাওখালীতে এক বিকাশ এজেন্টের ২৬ লাখ টাকা ছিনতাই হয়। এই ছিনতাই চক্রের মাস্টারমাইন্ড সাদিকুরের দুই সহযোগী সাইফুল ও মামুনুল গত ৩০ নভেম্বর পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। এরপর থেকে সাদিকুর পলাতক ছিলেন। সংগঠনের শৃঙ্খলাবিরোধী কাজের সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে সাদিকুরকে জেলা ছাত্রলীগের সম্পাদক পদ থেকে বহিষ্কার ও জেলা কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে দুই জনপ্রতিনিধিসহ কয়েকজন নারীর সঙ্গে অশালীন ভিডিও ধারণ করে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে পর্নোগ্রাফি আইনে দুটি মামলা হয়। এর আগে এ মামলায় গত তার সহযোগী আকাশকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁকে সাতক্ষীরা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে সাদিকুরকে ছিনতাইয়ের চার লাখ টাকাসহ ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত ১৫ ডিসেম্বর সদর থানায় পৃথক দুটি মামলা করেন। উক্ত মামলায় আটক হয়ে দীর্ঘদিন জেল হাজত খেটে সাদিক এবং শীমু জামিনে মুক্তি পান।