অনলাইন ডেস্ক : টানা বৃষ্টিপাতের কারণে ভারতের মহারাষ্ট্রের রায়গড়ে ভূমিধসে অন্তত ১২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।এছাড়াও বৃষ্টিপাতের পর সৃষ্ট বন্যায় হাজারও মানুষ আটকা পড়েছেন।
লাগাতার বৃষ্টির জেরে জায়গায় জায়গায় ভূমিধস হয়েছে। এতে একসঙ্গে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে মুম্বাই থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত রায়গড় জেলার কোঙ্কণে।
বৃহস্পতিবার সেখানকার বেশ কিছু জায়গায় ধস নামে। তাতে এক জায়গা থেকে ৩২ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। অন্য একটি জায়গা থেকে আরও চারটি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকা ও এনডিটিভির।
সেখানে কমপক্ষে আরও ৩০ জন আটকা পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাদের উদ্ধার করতে হেলিকপ্টার নামিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মোট ১২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গত কয়েক দিন ধরেই ভারী বৃষ্টি হচ্ছে মহারাষ্ট্রে। তাতে মুম্বাইসহ একাধিক এলাকা জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে রায়গড়, রত্নগিরি, কোলাপুরসহ একাধিক জেলায়।
গত ৪০ বছরে জুলাই মাসে এই পরিমাণ বৃষ্টি মহারাষ্ট্রে হয়নি বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
উদ্ধারকার্য চালাতে নৌবাহিনী এবং উপকূল বাহিনীর সাহায্যও নিচ্ছে রাজ্য সরকার। এ ছাড়াও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী নামানো হয়েছে।
একটানা বৃষ্টিতে মাটি আলগা হয়ে একাধিক জায়গায় বাড়িও ভেঙে পড়েছে।বানভাসি মহারাষ্ট্রের উপকূলবর্তী এলাকাগুলির ৫০ শতাংশ অংশ ডুবে গিয়েছে। বহু জায়গায় আটকা পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
তাদের পানি ভেঙে বেরনোর ঝুঁকি নিতে নিষেধ করা হয়েছে। বাড়ির ছাদে অথবা উঁচু জায়গায় থাকতে বলা হয়েছে, যেখান থেকে হেলিকপ্টার তাদের উদ্ধার করা হবে।
ভারী বৃষ্টিতে মুম্বাই-গোয়া জাতীয় সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। তার ছেলে তথা রাজ্যের মন্ত্রী আদিত্য নিজে একাধিক জায়গায় ছুটে গিয়েছেন। দাঁড়িয়ে থেকে উদ্ধারকাজে তদারকি করতে দেখা গেছে তাকে।