যশোর

কেশবপুরে অভিনব কায়দায় ইউএনও পরিচয়ে চাঁদাবাজি

By daily satkhira

July 24, 2021

কেশবপুর প্রতিনিধি :

ইউএনও পরিচয়ে অভিনব কায়দায় প্রতারণা করেছে প্রতারক চক্র। ঘটনাটি ঘটেছে যশোরের কেশবপুর উপজেলার পাঁজিয়া বাজারে। তাৎক্ষণিক উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বিজ্ঞপ্তি। এব্যাপারে থানায় অভিযোগ।

উপজেলার পাজিয়া বাজারের এক মিষ্টি বিক্রেতার নিকট থেকে ৩০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি প্রতারক চক্র। একই দিনে প্রতারক চক্র আরও ৩টি মিষ্টির দোকানে চাঁদা চেয়ে হুমকি দিয়েছে। বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষণিক উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম আরাফাত হোসেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ইউএনও কেশবপুর) ফেসবুক আইডিতে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জনগনকে প্রতারক থেকে সাবধানে থাকার অনুরোধ জানান এবং এলক্ষে পুলিশ কাজ করছেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে  উল্লেখ  করেন।

এ ব্যাপারে কেশবপুর থানা অফিসার ইনচার্জ বরাবর উপজেলার পাঁজিয়া বাজারের ব্যবসায়ী সঞ্জয় দাস লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন যে, গত ১৮ জুলাই তিনিসহ উপজেলার পাঁজিয়া বাজারের মিষ্টি ব্যবসায়ী মৃত্যুঞ্জয় দাস, অঞ্জণ অধিকারী ও আব্দুস সামাদ বাজারে মিষ্টির দোকানী এ দিন পাঁজিয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার শম্ভু নাথ বসু একটি ফোন নিয়ে দোকানে আসেন এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কথা বলবেন বলে জানান, এবং০১৬১০৪৭২৯৩৪ নম্বরে কথা বলিয়ে দেন। এর আধাঘন্টা মতো পরে সঞ্জয় দাসের ব্যবহৃত ০১৭৭৫৭২১২১৭ নম্বরে ওই নাম্বার থেকে ফোন করে কথা বলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলছি তোমরা করেনাকালীন সময়ে দোকানে ক্রয় বিক্রয় করো ,আমি মোবাইল কোট করে চিরতরে তোমার ও তোমাদের দোকান বন্দ কবে দিব,যদি বাঁচতে চাও ৩০ হাজার টাকা এ নম্বওে দিয়ে দাও। নিরুপায় হয়ে সঞ্জয় দাস ব্যবসা পরিচালনার স্বার্থে পাজিয়া বাজারস্থ বকিাশ এজেন্ট দেব নাথ বস্ত্রালয়ে গিয়ে ০১৬১০৪৭২৯৩৪ নম্বরে টাকা পরিশোধ করেন। পরবর্তীতে খোজ খবর নিয়ে বিষয়টি প্রতারণামুলক হওয়ায় অন্য ব্যবসায়ীরা টাকা দেন নি। ইউপি মেম্বার শম্ভু নাথ বসুর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও না পাওয়ায় তার বক্তব্য প্রকাশ করা যায়নি।

এবিষয়ে গত রাতে পাঁজিয়া বাজার কমিটির এ জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে সভা থেকে। বিষয়টি নিয়ে পাজিয়া বাজার কমিটি গত শুক্রবার রাতে এক জরুরি সভার আহবান করেন। বাজার কমিটির কার্যালয়ে বাজার কমিটির সভাপতি ও পাঁজিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মুকুল এবং কমিটির উপদেষ্টা মণ্ডলীসহ সদস্য বৃন্দদের উপস্থিতিত্বে দীর্ঘ আলোচনার পর সকলে ঘটনাটি সম্পর্কে জানতে পেরেছেন, এই প্রতারক চক্রের হোতা শম্ভুনাথ বসু নামের এক ব্যক্তির নাম উঠে আসে। অত্র ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শম্ভুনাথ বসু । বাজার কমিটির সভাপতি ও পাঁজিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মুকুল জানান, বিষয়টি প্রশাসনের কাছে আছে। আমরা অপেক্ষা করি, অবশ্যই এর সুষ্ঠু বিচার হবে। দোকানদারদের দাবি প্রতারক চক্রের হোতা শম্ভুনাথ বসুসহ জড়িতদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং নির্ভয়ে ব্যবসা পরিচালনা করতে চান তারা।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম আরাফাত হোসেন বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী অফিসে এসেছিলেন, এটি একটি প্রতারণা , বিষয়টি নিয়ে সর্বোচ্চ তদন্তের জন্য কেশবপুর থানা পুলিশকে অনুরোধ করেছেন।