আন্তর্জাতিক

হেফাজতে থাকা বাংলাদেশি নারীকে ক্যাম্পে ধর্ষণ, বিএসএফ সদস্য গ্রেফতার

By Daily Satkhira

July 30, 2021

অনলাইন ডেস্ক : ভারত থেকে স্থলপথে দেশের ফেরার সময় ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) হেফাজতে থাকা এক বাংলাদেশিকে নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ইতোমধ্যে এই অভিযোগে বিএসএফ- এর এক এসআই-কে গ্রেফতার করেছে দেশটির পুলিশ। গ্রেফতারকৃত ওই কর্মকর্তার নাম রামেশ্বর কয়াল। তাকে দুই দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় আদালত।

জানা গেছে, ওই নারী বাংলাদেশের গোপালগঞ্জের বাসিন্দা। গত তিন বছর ধরে গুজরাটের একটি শাড়ির শোরুমে কাজ করছেন তিনি। বুধবার বৈধ পাসপোর্ট বা কোনওরকম কাগজপত্র ছাড়াই দালাল মারফত ভারত থেকে বাংলাদেশে ফিরছিলেন। এ জন্য দালালকে তিনি ও তার বান্ধবী মিলে মোট ৩০ হাজার রুপি দেন। কিন্তু গৈহাটা এলাকার ঝাউডাঙ্গা সীমান্তে বিএসএফ-এর ১৫৮ ব্যাটালিয়ন সদস্যদের হাতে আটক হন তারা। এরপর রাতে ক্যাম্পে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ করেন ওই নারী।

ওই নারীর অভিযোগ, “আমি এবং আমার এক বান্ধবী ভারত থেকে বাংলাদেশে ফেরার পথে বিএসএফ-এর হাতে ধরা পড়ি। কিন্তু দালালকে ধরা যায়নি। এরপর ক্যাম্পে আমাদেরকে নিয়ে যাওয়া হয় এবং জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে রামেশ্বর নামে এক বিএসএফ কর্মকর্তা একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে আমাকে ধর্ষণ করে।”

তিনি আরও বলেন, তাদের কোনও বৈধ পাসপোর্ট ছিল না। তাই চোরাই পথে তারা বাংলাদেশে ফিরছিলেন। তিনি ও তার বান্ধবী মিলে দালালকে ৩০ হাজার রুপি দেন। তার অভিযোগ, বুধবার রাত এগারোটা নাগাদ তাদের বিএসএফ আটক করে এবং বারোটার সময় ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া যাওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদের পর সেখানেই ঘটে ধর্ষণের ঘটনা। এদিকে, ওই নারী অভিযোগের ভিত্তিতে ওই বিএসএফ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করেছে স্থানীয় গাইঘাটা থানার পুলিশ। এরপর তাকে বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হলে দুই দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। যদিও তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই বিএসএফ কর্মকর্তা।

তিনি বলেন, “আমি কোন অন্যায় কাজ করিনি। ওদেরকে কেবলমাত্র আটক করে নিয়ে এসেছি। ওই নারী অভিযোগ করতেই পারেন, কিন্তু আমি কিছু করিনি। তারা কেন অভিযোগ করেছে তা তারাই বলতে পারবেন।”

এ ঘটনায় ইতিমধ্যেই ওই নারীর বয়ান রেকর্ড ও তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বনগাঁ আদালতের মুখ্য সরকারি আইনজীবী।